East Bengal started thinking about ISL in the excitement of winning the Super Cup.
দ্যা হোয়াইট বাংলা স্পোর্টস ডেস্ক : সুপার কাপ জয়ের আনন্দ উচ্ছাসের মধ্যেই আইএসএলের ভাবনা শুরু ইস্টবেঙ্গলের। চার দিন পরেই রয়েছে আইএসএলে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচ। ব়ড় ম্যাচ মানেই চাপের ম্যাচ। সেই ম্যাচ জেতা গেলে, সুপার কাপের আনন্দ আরও কিছুদিন বেশি পালন করা যাবে। ড্র হলেও তাই, কিন্তু হেরে গেলে আইএসএলে ফের পিছিয়ে পড়বে লালহলুদ। সুপার কাপ জিতে যে মোমেন্টাম দল পেয়েছে, সেই ধারা বজায় রাখাই এখন প্রধান লক্ষ্য হতে চলেছে কার্লেস কুয়াদ্রাতের কাছে। সোমবার কলকাতায় ফিরে সমর্থকদের জনসমুদ্র দেখেই লালহলুদ ফুটবলাররা বুঝে গেছে, কেন কলকাতাকে ফুটবলের মক্কা বলা হয়। এতদিন শুধুই বিশেষণটা শুনে এসেছিলেন, কিন্তু এবার হাতে গরম প্রমাণ পেলেন খেলোয়াড়রা। বিমানবন্দর থেকে ক্লাব তাঁবু প্রতি জায়গায় ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা পিছু নিলেন বোর্হা, ক্লেইটনদের। ক্লাব তাঁবুতে হিজাজিদের নিয়ে সমর্থকদের মাতামাতি বুঝিয়ে দিচ্ছিল, কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল এই সুপার কাপ জয়। এরই মধ্যে শনিবার ডার্বি ম্যাচ রয়েছে। শেষ কয়েক বছরের টানা মোহনবাগান বড় ম্যাচ জেতায়, গ্যালারিতে সামান্য হলেও জনসংখ্যার নিরিখে আধিপত্য থাকত বাগানের। কিন্তু শনিবারের ম্যাচে লালহলুদ জনতা যে গ্যালারি ভরাবেই তা বলাই বাহুল্য। কার্লেসর কুয়াদ্রাতের হাত ধরে বহুদিন পর কলকাতায় ফের মস্তানি করার সুযোগ পেয়েছেন লালহলুদ সমর্থকরা। মাঠ ছাড়তে পেরেছেন কলার তুলে। ফলে আইএসএলের বড় ম্যাচেও কোচের থেকে সমর্থকদের প্রার্থনা একটাই, ডার্বির রঙও যেন হয় লালহলুদ। নিপাত ভদ্র স্প্যানিশ কোচকে দেখে বোঝা না গেলেও, ভিতরে রয়েছে অদম্য জেদ, ইচ্ছাশক্তি আর লড়াইয়ের মানসিকতা। সেই ল়ড়াইয়ের মানসিকতা গোটা দলের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে পেরেছেন কার্লেস স্যার। বুধবার থেকেই ফের ডার্বির মহড়া শুরু করে দিতে চলেছেন লালহলুদ কোচ। স্রেফ মাঠে নয়, বরং বেশিরভাগ সময়টাই মাঠের বাইরের স্ট্র্যাটেজিতে সময় দিতে চলেছেন ইস্টবেঙ্গলের হেডস্যার। ১৯ জানুয়ারি কলিঙ্গে বড় ম্যাচ জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। ১৫ দিন পরে ফের বড় ম্যাচ কলকাতায়। সেবারের মোহনবাগান দলের তুলনায় এবারের দল অনেক বেশি শক্তিশালি, কারণ সেই ম্যাচে বাগানের অধিকাংশ ভারতীয় ফুটবলারই ছিল জাতীয় ক্যাম্পে। তারা ফেরায় ডার্বি ম্যাচে লড়াইটা সহজ হবে না ইস্টবেঙ্গলের কাছে। তাই ট্যাকটিকালি ম্যাচ থেকে পয়েন্ট বের করতে চান কার্লেস। টানা খারাপ পারফরমেন্সের জেরে, সবুজ মেরুন শিবিরের ভিতরেই রয়েছে একটা চাপা টেনশন। ডার্বির আগে যা কাজে লাগাতে মরিয়া ইশ্টবেঙ্গল কোচ। বাগানে নতুন কোচ এসেছেন হাবাস। ডার্বি ম্যাচেই তার অভিষেক হবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের কোচ হিসেবে। ফলে সেদিক থেকে এগিয়ে থাকছেন লালহলুদের হেড স্যারই। কারণ একই দল টানা পরিচালনা করে আসায়, খেলোয়াড়দের হাতের তালুর মতো চেনেন তিনি। তার ম্যাচ রিডিং সুপার ফাইনালে নজর কেড়েছিল। ঠিক সময় মহেশকে নামিয়ে আক্রমনে ঝড় তুলেছিলেন। দল পিছিয়ে থাকা অবস্থায় মাহেশ মাঠে নেমেই খেলা ঘুড়িয়ে দেন। শেষ হাসি হাসে লালহলুদ। ফলে ফুটবলারদের এত ভালো ভাবে ব্যবহার করাই ডার্বির আগে অনেকটাই আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে ইস্টবেঙ্গল শিবিরকে।