Eastbengal aim to win the derby after winning the Super Cup
দ্যা হোয়াইট বাংলা স্পোর্টস ডেস্ক : শনিবার আইএসএলের প্রথম ডার্বি। সেই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলকে নামতে হচ্ছে 4 বিদেশী নিয়েই। তবে মোহনবাগানের মুখোমুখি হওয়ার আগে বেশ আত্মবিশ্বাসি লালহলুদ ফুটবলাররা। দলগত সংহতীই যে লালহলুদ ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাসের চূড়ায় নিয়ে গেছে। কিন্তু বোর্হা ও শিভেরিওর বদলি ফুটবলার অনুশীলনে যোগ না দেওয়ায় মোহনবাগানের বিপক্ষে কার্লেসের হাতে থাকছে চার বিদেশী। দুই ডিফেন্ডার হিজাজি মাহের এবং পার্দো। এক মিডফিল্ডার সাউল ক্রেসপো, যিনি সুপার কাপ ফাইনালে নজরকা়ড়া ফুটবল খেলেছেন, অপর জন লালহলুদের ক্যাপটেন ক্লেইটন সিলভা। ডার্বিতে অনবদ্য গোল করে যিনি মোহনবাগান সমর্থকদের আশায় জল ঢেলে দিয়েছিলেন। ছয় বিদেশী থাকলে কার্লেসের দল ডার্বিতে এগিয়ে থেকেই মাঠে নামত। কিন্তু জোড়া স্প্যানিশ না থাকায় ম্যাচ এখন ফিফটি ফিফটি। এই মরসুমের এখন পর্যন্ত তিনটি ডার্বির মধ্যে 2-1এ এগিয়ে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। কারণটা স্বাভাবিক, তাদের কোচের অনবদ্য ম্যাচ রিডিং। তিনটি ম্যাচেই ফল এসেছে। ফলে এটাও বলা যায়, দুই দলের কারোর ডিফেন্সই খুব জমাট নয়। মোহনবাগান যেমন আনোয়ারের অনুপস্থিতিতে প্রায় প্রতি ম্যাচেই গোল হজম করেছে। তেমন ইস্টবেঙ্গলও মাহের, পার্দোদের উপস্থিতি সত্বেও নিয়মিত গোল খেয়েছে।
সাধারনত ডার্বি ম্যাচ এক গোলের ম্যাচ। সুপার কাপে তার অন্যথা হলেও গ্রুপ লেগের ম্যাচ হওয়ায় দুই দলের কেউই অলআউট অ্যাটাকে যাবে না তা বলাই যায়। কুয়াদ্রাত তাই চাইবেন রক্ষণ জমাট রেখেই আক্রমনে যেতে। তাই 4-5-1 ফর্মেশনে ক্লেইটনকে সামনে রেখে দল সাজাতে পারেন তিনি। শুক্রবার বিকেলে রুদ্ধদ্বার অনুশীলনেই ডার্বির মহড়া সেড়ে ফেললেন স্প্যানিশ কুয়াদ্রাত। ফুটবলারদের শরিরি ভাষা বুঝিয়ে দিচ্ছিল, বেশ খোশ মেজাজেই রয়েছেন তাঁরা। সুপার কাপ জয়, দলের মধ্যে থাকা গুমোট ভাবটা কাটিয়ে দিয়েছে। বহুদিন পর ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা আবার ফুল হাউস ভর্তি করতে চলেছে ডার্বিতে। একটি টিকিটও হয়ত পড়ে থাকবে না। কার্লেস অবশ্য ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষ মোহনবাগানকে সমীহই করছেন। আইএসএলে আজ পর্যন্ত মোহনবাগানকে হারাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল।
লালহলুদের হ্যামলিনের বাশিওয়ালা কার্লেস কুয়াদ্রাতের স্পর্শে সেই স্বপ্ন শনিবারই পূরণ হবে, আশায় সমর্থকরা। মহেশই তার তুরুপের তাস। সায়ন ভালো খেলেছে সুপার কাপে। বাংলার আবেগের সঙ্গে বড়িয়ে থাকে ম্যাচ, তাই তাকেও প্রথম একাদশে রাখতে পারেন কার্লেস। সেক্ষেত্রে নিজের সেরাটাই দেবেন সায়ন। লেফট সাইডব্যাক মান্দার, রাইটব্যাক থাকছেন রাকিপই। প্রয়োজনে দ্বিতীয়ার্ধে অ্যাটাকিং ফুটবল খেলার জন্য হিজাজিকে একটু ওপরে তুলে দিতে পারেন কার্লেস। সেক্ষেত্রে আনা হতে পারে লালচুননুঙ্গাকে। তবে সবটাই নির্ভর করবে ম্যাচের পরিস্থিতির ওপর। এখন দেখার শনিবাসরিয় সন্ধ্যায় যুবভারতীর রং কি লালহলুদ করতে পারে কার্লেস কুয়াদ্রাতের ছেলেরা।