Friday is the first big match of the year. Mohun Bagan vs East Bengal at Kalinga Stadium
দেশ
দ্যা হোয়াইট বাংলা স্পোর্টস ডেস্ক : শুক্রবার বছরের প্রথম বড় ম্যাচ। কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গল। ডার্বির আগে চনমনে ইস্টবেঙ্গল শিবির। পরপর দুই ম্যাচে জয়। সঙ্গে বিদেশীদের ছন্দে থাকা অনেকটাই স্বস্তিতে রেখেছে লালহলুদ কোচকে। ম্যাচের আগের দিন সন্ধ্যায় বেশ কিছুক্ষণ ঘাম ঝড়িয়েছেন লালহলুদ ফুটবলাররা। তবে অনুশীলনের অধিকাংশ সময়টাই ভিডিও ক্লাসে বাগান রক্ষণের দুর্বলতার দিক গুলো দেখিয়ে দিয়েছেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। বহুদিন পর ডার্বির আগে নিশ্চিন্তের নিদ্রা যাবেন লালহলুদ সমর্থকরা। মোহনবাগানের মাঝমাঠ বলে কিছুই নেই এবারের সুপার কাপে। কারণ অধিকাংশ ফুটবলার চলে যাওয়ায় এবং বুমোসের অফ ফর্মের কারণে বাগানের মিডফিল্ড একদমই আনকোড়া ফুটবলারেই ভর্তি। ফলে কুয়াদ্রাত শুরুতেই মাঝমাঠের দখল নিয়ে নিতে চাইছেন। ডার্বিতে আক্রমনে এক বিদেশী ক্লেইটনকেই রাখতে পারেন স্প্যানিশ কোচ। কারণ শিভেরিও সুহেররা থাকলেও পার্থক্য গড়ে দিচ্ছেন এক ব্রাজিলিয়ানই। তাই মাঝমাঠে ক্রেসপো, পার্দো, নন্দাদের দিয়ে মাঝমাঠের দখল নিয়ে নেওয়া গেলে সেমিতে যেতে খুব বেশি অসুবিধা হবে না। বরং গোলের দেখা পেতেও সুবিধা হবে। মোহনবাগানের ডিফেন্সের অবস্থাও তথৈবছ। শেষ ৫ ম্যাচে বাগানের ডিফেন্সের করুণ অবস্থা প্রকাশ্যে এসেছে। আক্রমনে গত ম্যাচে জিততে বাগানের ভরসা ছিল হায়দরাবাদের একটি আত্মঘাতি গোল এবং পেনাল্টি। ডেড বল সিচুয়েশনের ক্ষেত্রে মোহনবাগান দল বেশ ভালো, কারণ অবশ্যই দিমিত্রি পেত্রাতোস। তাই বক্সের ভিতরে তো বটেই বাইরেও অন্তত ১০ গজের মধ্যে হার়্ড ট্যাকেলে যেতে ফুটবলারদের নিষেধ করছেন কুয়াদ্রাত। ম্যাচে ড্র করলেই গ্রুপ টপার হিসেবে সুপার কাপের সেমিতে চলে যাবে ইস্টবেঙ্গল। ফলে গোল না আসলেও অন্তত গোল খেতে চান না লালহলুদ কোচ। কারণ বাগানকে সেমিতে যেতে গেলে জিততেই হবে। ফলে গোলের জন্য বাগান অলআউট গেলে, তখন কাউন্টার অ্যাটাকে অনেক সুবিধা বাড়বে লালহলুদ। তাই হিজাজি মাহেরদের ঘর সামলেই আক্রমনে যেতে বলছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। এখন দেখার কলিঙ্গ ডার্বিতে বাগান বধ করতে পারেন কিনা হিজাজি মাহের, ক্লেইটনরা।