Election manifesto release of CPI(M).
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের সরকার বিজেপি আর না। বিজেপিকে সরাতে হবে। দেশের ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক গণরাজের চরিত্র রক্ষার জন্যই তা প্রয়োজন। তার জন্য বামপন্থীদের এবং সিপিআই(এম)’র শক্তি বাড়ানো জরুরি।
এই মর্মেই ইশতেহার প্রকাশ করল সিপিআই (এম)। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক ইশতেহারের মূল বিষয় :-
• সংবিধানে বর্ণিত ধর্মনিরপেক্ষ নীতি এবং গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করা।
• কৃষকের অধিকার লাগু করা, যাতে তাঁর উৎপাদিত সামগ্রীর ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে বিক্রি করতে পারে এবং যা মোট উৎপাদন মূল্যের ৫০ শতাংশের বেশি হবে।
• শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি সুনির্দিষ্ট করা যা প্রতি মাসে ২৬০০০ টাকার কম হবে না; মজুরিকে ভোগ্যপণ্য মূল্য সুচকের সাথে যুক্ত করা।
• সার্বজনীন গণবন্টন ব্যবস্থায় জন প্রতি ১০ কেজি খাদ্যশস্য দেওয়া -এর মধ্যে ৫কেজি বিনামূল্যে এবং ৫ কেজি ভর্তুকি হারে।
• বিনামূল্যে স্বাস্থের অধিকার, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বেসরকারী স্বাস্থ্য বিমার অবসান;জাতীয় গড় উৎপাদনের ৫শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করা।
• অবিলম্বে সংসদে এবং রাজ্য বিধানসভাগুলিতে মহিলাদের জন্য এক তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণে আইন প্রণয়ন করা জনগণনা ও ডিলিমিটেশনের সাথে যুক্ত না করে; মহিলা ও শিশুদের বিরুদ্ধে হিংসা রোধে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহন।
• জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ বাতিল করা।বিদ্যালয় এবং উচ্চশিক্ষায় সরকারী শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক সম্প্রসারণ করা এবং শিক্ষার গুনমান উন্নত করা। জাতীয় গড় উৎপাদনের ৬ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় করা; শিক্ষা ব্যবস্থায় সাম্প্রদায়ীকরণের অবসান এবং গণতান্ত্রিক কাঠামো সুনিশ্চিত করা।
• কাজের অধিকার সাংবিধানিক অধিকার; কর্মহীনদের জন্য বেকার ভাতার ব্যবস্থা করা।
• সমস্ত বয়স্ক নাগরিকদের জন্য ন্যূনতম মাসিক বার্ধক্য ভাতা চালু করা যা ন্যূনতম মজুরির অর্ধেকের কম হবে না অথবা মাসে ৬০০০ টাকা, এর মধ্যে যেটি বেশি হবে।
• রাষ্টায়ত্ত্ব সংস্থার বেসরকারীকরণ বন্ধ করা এবং প্রতিরক্ষা, বিদ্যুৎ, রেল, বুনিয়াদী পরিষেবার ক্ষেত্রে বেসরকারীকরণ প্রত্যাহার করা।
• তফসিলী জাতি, উপজাতি, অন্যান্য পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য চাকরি এবং শিক্ষায় সংরক্ষন করা।
• ধনী ও কর্পোরেট মুনাফায় কর বৃদ্ধি; অতি ধনী বা মহাধনীদের জন্য সম্পত্তি কর পুনরায় চালু করা এবং উত্তরাধিকার কর প্রবর্তন করা; দীর্ঘমেয়াদী মূলধনী মুনাফা কর প্রবর্তন করা।
• নির্বাচনী সংস্কার সাধন করা আংশিক তালিকাসহ আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব চালু করার মধ্য দিয়ে; নির্বাচনী ব্যয় রাষ্ট্রের বহন করা।