The Chief Minister reached Jalpaiguri, a natural disaster. He reached the hospital to see the injured.
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। সেটা গার্ডেন ডিজে বেআইনি নির্মাণ বিপর্যয় হোক বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়। রাজ্যের ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনায় বারবার ছুটে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালবৈশাখীর ঝড়ে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি। চারজন মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেই শান্ত হয়ে কালীঘাটের বাড়িতে বসে থাকতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজি লোকসভা নির্বাচনে অসুস্থ শরীর নিয়েই কৃষ্ণনগরে পৌঁছে গিয়েছিলেন। দুপুর গড়াতেই বিকেল হতেই উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয় আর তাকে আটকে রাখতে পারেনি চৌহদ্দির মধ্যে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর আগেই পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছিল উত্তরবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা। যেমন কথা তেমন কাজ। কালবৈশাখীর ঝড়ে জলপাইগুড়িতে তাণ্ডব শুরু হয়।ঝড়ের পাশাপাশি ছিল শিলাবৃষ্টিও হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ময়নাগুড়ির রাজারহাট, বার্নিশ, বাকালি, জোরপাকড়ি, মাধবডাঙা, সাপ্টিবাড়ি গ্রামে। প্রাণ হারান অন্তত পক্ষে ৪ জন সরকারি সূত্রের খবর। প্রচুর পাকাবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চাল উড়েছে কয়েক হাজার বাড়ির। গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে জখম শতাধিক। বিঘার পর বিঘা ভুট্টা, বেগুন, ফুলকপি, বাধাকপি, টমেটো, লঙ্কা খেত তছনছ হয়েছে। শিলের আঘাতে জখম হন প্রচুর পথচারী। জলপাইগুড়ির মহকুমা শাসক তমোজিত চক্রবর্তী বলেন, “বিপর্যয় মোকাবিলা দলকেও কাজে লাগানো হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য ইতিমধ্যেই হেল্পলাইন খোলা হয়েছে। প্রয়োজনে মানুষ যোগাযোগ যেমন করতে পারবে তার পাশাপাশি তারা যাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন সেই মর্মেই এই হেল্পলাইন খোলা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
রাত পোহালেই এপ্রিল মাস পড়ে যাচ্ছে নির্ধারিত সুচি অনুযায়ী তিনি উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি লোকসভা কেন্দ্রের রাজনৈতিক জনসভা করবেন বলে আগে থেকেই স্থির ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কোচবিহার আলিপুরদুয়ার জলপাইগুড়ির মতন উত্তরবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ আসন গুলিতেই মূলত মুখ্যমন্ত্রী তার রাজনৈতিক জনসভা করবেন বলে স্থির ছিল। কিন্তু রবিবার দুপুর গড়াতেই যেভাবে কালবৈশাখীর ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা দেখে আর সিট থাকতে পারেননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজে অসুস্থ কিন্তু তার রাজ্যে এইভাবে প্রাকৃতিক বিপর্যয় যেখানে চারজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে, আর তিনি কালীঘাটের বাড়িতে বসে কোনোভাবেই অপেক্ষা করতে পারছিলেন না। দ্রুত পৌঁছে গিয়েছেন উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে যেখানে আহতরা ভর্তি রয়েছে হাসপাতালে সেখানেই পৌঁছে যান স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।