কলকাতা, দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল: গত বেশ কয়েক দিন ধরেই সিপিআইএমের রাজ্য দফতরের পক্ষ থেকে ব্রিগেড সমাবেশের জন্য একটি বার্তা চাওয়া হয়েছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীবুদ্ধদেবের কাছে। তিনি সম্মতি দেওয়ায় শনিবার রাতেই তাঁর পাম এভিনিউর বাসভবনে পৌঁছে যান DYFI এর নেতা-নেত্রীরা।
রবিবাসরীয়তেই সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর ব্রিগেড সমাবেশ। সেই সমাবেশের আগে শনিবার রাতে বালিগঞ্জের পাম অ্যাভিনিউয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাসভবনে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিপিআইএমের যুব সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্ব। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে বেরিয়ে মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যম কে জানান ‘‘উনি আমাদের হাত ধরে বলেছেন রবিবার ভাল ব্রিগেড হবে। বড় ব্রিগেড হবে।’’
“ইনসাফ যাত্রা” নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় বাম যুব নেতৃত্বকে বুদ্ধদেবের পরিবারের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পরিবারের তরফে জানানো হয় তিনি বার্তা দিতে পারবেন। তার পরেই রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ পাম অ্যাভিনিউতে পৌঁছন DYFI র যুব নেতৃত্ব। রবিবারের সভায় সিপিএমের যুবদের জন্য বুদ্ধদেবের পাঠানো বার্তা পাঠ করা হতে পারে। সেখানেই স্পষ্ট হয়ে যাবে, বাম মনোভাবাপন্ন রাজ্যের মানুষের প্রতি তিনি কী বার্তা দিতে চেয়েছেন। প্রসঙ্গত, ডিওয়াইএফআই সর্বভারতীয় সংগঠন হওয়ার আগে বাংলারই সংগঠন ছিল। সেই সংগঠনের নাম ছিল ডিওয়াইএফ। ১৯৬৭ সালে তৈরি সেই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন বুদ্ধদেব। ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারির আগে থেকেই তিনি গৃহবন্দি। পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি থেকে এসে মঞ্চের নীচে গাড়িতেই বসেছিলেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা। নাকে লাগানো ছিল অক্সিজেনের নল। মিনিট ১৫ থেকেই ফের ফিরে গিয়েছিলেন বাড়িতে।
শনিবার রাত ৮ টা নাগাদ প্রাক্তণ মুখ্য়মন্ত্রীর পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে পৌঁছান ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী মুখোপাধ্য়ায়, আভাস রায় চৌধুরী. কলতান দাশগুপ্ত-র মতন প্রথম সারির নেতৃত্ব। প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য সকলের সাথেই খোশমেজাজে কথা বললেন।