Bangladesh government to prevent black it issued guidelines that the name of the mill, price and variety should be mentioned on the bags of rice.
বাংলাদেশ
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
উৎপাদনকারী মালিকেরা (মিলার) যখন গুদাম থেকে চাল বের করবেন, তার আগে বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিলগেটের দাম এবং ধান বা চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। তবে এসব তথ্য কালি দিয়ে হাতে লেখা যাবে না। বস্তার ওপর এসব তথ্য মুদ্রিত থাকবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় আজ বুধবার পরিপত্র জারি করে নতুন এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। এ নির্দেশ আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে বাধ্যতামূলকভাবে মানতে হবে। পরিচয় পত্রে বলা হয়, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলা পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বাড়লে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমতো জাতের ধান, চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন।
অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তও হচ্ছেন। এ অবস্থার উত্তরণের জন্য চালের বাজারমূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে, ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয়, তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ–সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিবীক্ষণের সুবিধার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে বলা হয়, চাল উৎপাদনকারী সব মিলমালিকের (অটো/হাস্কিং) সরবরাহ করা সব ধরনের চালের বস্তা বা প্যাকেটের (৫০, ২৫, ১০, ৫, ২, ১ কেজির ইত্যাদি) ওপর ওই তথ্যগুলো মুদ্রিত থাকতে হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা মানতে হবে। এ ক্ষেত্রে মিলগেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে।
পরিপত্রের আলোকে সব জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও খাদ্য পরিদর্শকেরা পরিদর্শনের সময় এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করবেন। ব্যত্যয় ঘটলে তাঁরা খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।