Unwanted ED panic ruling MLA! No additional purchases, ED can come at home! The State Assembly laughs at the memory of the movie “Showle of the 70s”.
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
৭০ দশকের সুপারহিট শোলে সিনেমার গব্বর সিংয়ের (আমজাদ খানের) সেই বিখ্যাত উক্তি আজও মনে রেখেছে মানুষ। গব্বর সিং যখন নিজের ডেরায় সঙ্গীসাথীদেরকে উদ্দেশ্য করে বলছেন “পঞ্চাশ কিলোমিটার দূরে যখন কোন শিশু কাঁদে, তখন তাঁর মা তাকে বলে বেটা শো যা, নেহিত গব্বর সিং আ যায়ে গা”
শোলে সিনেমার না হলেও যে পরিস্থিতি রাজ্যে কেন্দ্রীয় দুই তদন্তকারী সংস্থা তৈরি করে রেখেছে তাতে অনেকটা এরকমই হচ্ছে!এমনই ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইল শুক্রবার রাজ্য বিধানসভা। এরাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, থেকে রেশন দুর্নীতি অথবা আর্থিক প্রতারণার মত ঘটনায় দিনে দুপুরেই শাসকদলের বিধায়ক মন্ত্রীদের বাড়িতে কড়া নাড়ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। শাসকদলের বিধায়ক থেকে নেতা-নেত্রী সকলেই ইডি আতঙ্কে যে ভুগছেন সেটা স্পষ্ট হয়ে গেল হুগলি জেলা থেকে নির্বাচিত ওই বিধায়ক কণ্ঠস্বরেই।
বিধানসভার অধিবেশন তখনও শুরু হয় নি। লবিতেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন, আড্ডা দিচ্ছেন সব বিধায়করা। এমন সময় এক তৃণমূল বিধায়কের ফোন বেজে উঠলো। ফোনের ওপারে কি বললো তখন বোঝা না গেলেও সেই তৃণমূল বিধায়ক প্রায় আঁতকে উঠে বললেন, “না না, আমার এসব লাগবে না।” বলেই কেঁটে দিলেন ফোন। তারপরই প্রায় স্বগতোক্তির মত করে বললেন উপরের কথাগুলো।
অবাঞ্ছিত ফোন কল নিয়ে আমরা সকলেই প্রায় কমবেশি ভুক্তভোগী। তার সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন ঋণদাতা কোম্পানির ফোন, জমি, বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার জন্য ফোন। এমনই জমি কেনার জন্য খোঁজ খবর নিতে ওই বিধায়কের ফোনে ফোন এসেছিলো। হুগলি জেলা থেকে নির্বাচিত ওই বিধায়ক বলেন, আমার এখানে বাড়ি রয়েছে, জমি রয়েছে। আমি খামোকা এখন আবার কেন জমি কিনতে যাবো। তাও আবার শিলিগুড়িতে! আসলে বিধায়ক জানালেন শিলিগুড়ি থেকে কেউ একজন ফোন করে তাঁর কাছে জানতে চান যে তিনি শিলিগুড়িতে কোনো জমি কিনবেন কি না। পরে হাসতে হাসতে তিনি বলেন, আমি কি পাগল নাকি। যেভাবে ইডি চারিদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এই সময় কেউ জমি কেনে নাকি। তা হঠাৎ জমি কেনার সঙ্গে ইডির ঘুরে বেড়ানো নিয়ে আপনি ভাবছেন কেন ? প্রশ্ন শুনেই ওই বিধায়ক বললেন, “দেখতে পাচ্ছেন না ইডি কিভাবে আমাদের পিছনে পড়েছে। আরে, বাড়িতে নতুন টিভি বা এসি কিনতে গেলেও চোদ্দবার ভাবতে হচ্ছে।” বলেই ফের হাসতে শুরু করলেন তিনি। কাছেই থাকা আরো দুই তিনজন বিধায়কও হাসতে হাসতে তাঁর কথাকেই সমর্থন জানালেন। এই বিষয় নিয়ে বিজেপির এক বিধায়ক অবশ্য ওই তৃণমূল বিধায়কের পাশেই দাঁড়ালেন। তাঁর মন্তব্য, “সত্যিই দিন নেই রাত নেই, এই ঋণ নিন, ওই ঋণ নিন বলে ফোন চলে আসে।” তাঁর আরও সংযোজন, “আমরা পাবলিক ফিগার। তাই আননোন নাম্বার থেকে ফোন এলেও সেটা ধরি। তবে এমন অনেক সময় হয়েছে খুব গুরুত্বপূর্ণ কোনো মিটিং এ আছি, তখন এই ধরনের ফোন এসেছে। ধরার পরেই বুঝেছি। আর তারপরেই ওই নম্বর ব্লক করেছি।” তবে তৃণমূল বা বিজেপি দুই দলের বিধায়কই জানালেন, এইভাবে আর কত নম্বর ব্লক করবো।