ব্যুরো রিপোর্ট : রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ১৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে । ইডির পক্ষ থেকে ১৪ দিনে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন ব্যাংকশাল আদালতে। হাসখালির পর ফের বনগাঁ একবার মারমুখী জনতার মুখে পড়েন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা। বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় ফের উড়ে আসে ইট, ভাঙল কাচ।শুক্রবার সন্দেশখালিতে অভিযানে গিয়ে ভয়াবহ ভাবে আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিক ও সিআরপিএফ জওয়ানরা। ১৭ ঘণ্টা ধরে তল্লাশির পর শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর তাকে গাড়িতে তোলার সময় আবার রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বনগাঁ। ইডি-র গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করেন তৃণমূল নেতার অনুগামীরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী লাঠিচার্জ করায় পিছু হঠে বিক্ষোভকারীরা। ধৃত তৃণমূল নেতা ও ২ জন ইডি অফিসারকে নিয়ে কোনওক্রমে এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যায় ED-র গাড়ি। পিছনে টেনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটরের আরেকটি গাড়ির কাচ ইট মেরে ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ।
শুক্রবার রাজ্যের ১২টি জায়গায় একযোগে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যর একাধিক ঠিকানা ও আত্মীয়দের বাড়িতে হানা দেয় ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।বনগাঁয় শঙ্কর আঢ্যর বাড়ি ও তাঁর শ্বশুরবাড়ি, গাইঘাটায় তাঁর ভাই মলয় আঢ্যর আইসক্রিম কারখানা, শঙ্কর আঢ্যর দুই কর্মচারীর বাড়ির পাশাপাশি বাঘাযতীনে তৃণমূল নেতার চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্টের বাড়িতেও অভিযান চালান তারা।
শঙ্কর আঢ্যকে আদালতে পেশ করার পর ইডি আধিকারিক ও বিচারকের সঙ্গে কথোপকথোন :
ইডি আইনজীবী : এটা শুধু কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি নয়, এর সঙ্গে দেশের নিরাপত্তাও জড়িত। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এই দুর্নীতির জাল ছড়িয়ে রয়েছে। তাই এই শঙ্করের হেফাজতে প্রয়োজন। নেপথেয় অন্য পান্ডা রয়েছে। একাধিক বিদেশি মুদ্রা এক্সচেঞ্জ করেছে এর কোম্পানি আছে বিভিন্ন জায়গায়।৯000 থেকে ১0,000 কোটি টাকা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হতে পারে।
ইডি আধিকারিক: বাংলা গরিব নয়, বাংলার মানুষকে গরিব করা হয়েছে
বিচারক: ১০-১২ হাজার কোটি শুধু এইটুকু এলাকায়! টাও বলা হয় বাংলা গরিব রাজ্য?
ইডি : জমিনের বিরোধিতা ইডির। এত টাকার দুর্নীতি, তাও জামিনের আবেদনে বিস্ময় প্রকাশ ইডির। প্রায় ৯০ টি কোম্পানি চালাতেন
হাসপাতালে থাকাকালীন জ্যোতিপ্রিয়কে চিঠির মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা। কারণ পরে সেই চিঠি সি আর পি এফ এর হাতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল শঙ্কর ওরফে ডাকুর। রেশন দুর্নীতির টাকা শঙ্কর এর সাহায্যেই বিদেশে কনভার্ট করা হত। ১৪ দিনের হেফাজতের আবেদন ইডির। আদালতে কেস চলাকালীন শঙ্কর এর ছেলে কথা বলার চেষ্টা করলে ক্ষুব্ধ হন বিচারক। দ্বিতীয়বার আর সুযোগ দেওয়া হবে না।কেউ কমিউনিকেশন করলে কাস্টডিতে নেওয়া হবে।