Public leader Abhijit Ganguly is now under public trial. The next day will say whether he is God or Devil
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: ২৪ এর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে। সন্দেশখালির নারী শক্তির উত্থানের মধ্যে দিয়ে। ন্যায়ের পক্ষে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দুর্গাবাহিনীর সশস্ত্র যুদ্ধ যাকে বলে। হাতুড়ি- খুন্তি- দা- বটি- কুড়ুল -ঝাঁটা -কুস্তি দুর্গা বাহিনীরা আজ পথে নেমেছে। তাদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই তারা আত্মরক্ষা, সম্মান, সম্ভ্রম ,সন্ত্রাস,লুট, জায়গাজমি দখলের বিরুদ্ধে তাদের একটাই কথা – আর নেই দরকার – এমন সরকার। চারদিকে শুধু ধিক্কার ধিক্কার ধিক্কার। সত্যি কী এই সরকারের আমাদের প্রয়োজন আছে? পুলিশকে দেখে মনে হয় উৎপল দত্তের ‘,টিনের তরোয়াল’ নাটকের মতো তারা তালপাতার সেপাই -ঢাল নেই তরোয়াল নেই নিধিরাম সর্দার। পুলিশের করুণ অসহায় অবস্থা দেখে জনগণের লজ্জায় মুখ ঢাকে। একসময় ক্যালকাটা পুলিশের দক্ষতা নিয়ে ইংল্যান্ডের স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সঙ্গে তুলনা করা হতো। ক্যালকাটা পুলিশ নিয়ে একসময় আমাদের কত গর্ব ছিল! এখন তারা কলকাতার পুলিশ নয় কালীঘাটের পুলিশ বলে কুখ্যাতি অর্জন করেছে। দুষ্কৃতীদের পুলিশ ধরতে পারে বরং তাদেরকে পাহারা দিয়ে যত্ন করে রাখে। সন্দেশখালির ডন মাফিয়া, নারী ধর্ষণকারী শেখ শাজাহানের ৫৬ দিন পরে গ্ৰেপ্তারীতে সেই দৃশ্য দেখা যায়। তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ সিনেমার ভিলেনের মতো ডোন্ট কেয়ার মনোভাব -পুলিশ তাকে কিছুই করতে পারে না, সেই দৃশ্য আমরা দেখেছি ।
তৃনমূলের সুপ্রিমোকেও দেখেছি দীর্ঘ অনশনের পর তাঁর ওজন বেড়েছিল। সেই অনশনের নাটক থেকে আজকের পা ভাঙ্গা, মাথার নাটক সমান ভাবে করে যাচ্ছেন । নাট্যকারদের নাটক শিখতে হবে তাঁর কাছে। এমন নাটুকেবাজ,অযোগ্য , দুর্নীতিপরায়ণ নেত্রীর যোগ্য দাঙ্গাবাজ শিষ্য তারা। ব্লকে ব্লকে জেলায় জেলায় শাসকশ্রেণীর ছত্রছায়ায় কত শেখ শাজাহান তৈরি হয়েছে। আজকের নারী শক্তির উত্থানের মধ্যে দিয়ে দিন বদলের পালা শুরু হয়েছে। দিন বদলের ডাক দিয়েছে সর্ব স্তর থেকে কৃষক- যুবক- ছাত্র থেকে সাধারণ জনগণ। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে পথে নেমেছেন বাঙালির আইকন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি । তিনি এখন আর জনগণের বিচারপতি নন, তাঁর বিচারপতি এখন জনগণ। এতোদিন তিনি জনগণের বিচার করেছিলেন। এবার তার বিপরীত হবে। এখন জনগণ তাঁকে বিচার করবে। ২৪ এর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তাঁর অগ্নি পরীক্ষা হবে । আগামী লোকসভা নির্বাচনে তিনি লোক সভার প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। জনগণের আবেগ, ভালোবাসা , তাদের রুচিবোধের পরিচয় দান করবে ভোটদানের মধ্যে দিয়ে। জজ সাহেব থেকে নেতা , এজলাস থেকে সরাসরি ভোটের ময়দানে আমরা তাঁকে দেখতে পাবো। এমন নজির ভারতবর্ষে এই প্রথম। জনগণের আশা আকাঙ্খা ভালোবাসার প্রতীক তিনি। এতোদিন দুর্নীতিপরায়ণ নেতাদের দেখছি,এখন দেখবো সৎ ,বলিষ্ঠ, আপোষহীন ,সংগ্ৰামী নেতাকে । আমাদের পচন ধরা গনতন্ত্রের এমন আপোষহীন,বলিষ্ঠ,সৎ নেতার প্রয়োজন আছে। জনগণ তাঁকে ভগবান রূপে দেখতে চায়। অবশ্য নেতৃমূল তাঁকে শয়তান বলে অভিহিত করেছে। অবশ্য তিনি শয়তান বলে তৃণমূলের বিষবৃক্ষ সমূলে উৎপাটন করতে পেরেছেন । তিনি তাঁর বলিষ্ঠ রায় দানের মাধ্যমে দীর্ঘসূত্রীতা বিচার ব্যবস্থাকে সচল করেছেন । তাঁর জন্যে জনগণ দুর্নীতিপরায়ণ নেতাদের বাড়িতে টাকার পাহাড় দেখতে পায়। তাঁর জন্যে দুর্নীতিপরায়ণ নেতারা এক এক করে জেলের গারদে আছে। তৃণমূল দলের নেতা থেকে মন্ত্রী প্রায় অর্ধেকের বেশি এখন জেলের মধ্যে । এখন শুধু তৃণমূল নেতাদের জন্যে একটা জেলের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
জাস্টিস অভিজিৎ গাঙ্গুলীর বিচার ব্যবস্থায় অসামান্য অবদান আগামীদিনের ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করবে এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। এখন দেখবো নেতা হিসেবে তিনি কতটা জনগণের গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেন। জনগণ এখন দেখতে চায় তাঁর কথার সঙ্গে কাজের মিল কোথায় এবং সেই সঙ্গে তাঁর কাজের সঙ্গে কথার অমিল কোথায়। দুই উকিলবাবু যখন কোর্টে ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করেন ,তখন বিচারপতি শুধু তাঁদের ট্রায়াল শোনেন না, তিনি নিজেই থাকেন ট্রায়ালের অধীনে। জননেতা অভিজিৎ গাঙ্গুলী এখন আছেন জনগণের ট্রায়ালের অধীনে। আগামী দিন বলবে তিনি ভগবান না শয়তান। শয়তান কখনো ভগবান হয় না, ভগবান সব সময় ভগবান হয়েই থাকেন। অভিজিৎ গাঙ্গুলী সব সময় ভগবান হয়েই জনগণের সঙ্গে থাকবেন জনগণ এমন প্রত্যাশা করে।