রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক : লোকসভার সঙ্গে সব রাজ্যের বিধানসভা ভোট যেন একসঙ্গে হয়। এ ব্যাপারে তীব্র আপত্তি জানিয়ে চিঠি দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।‘এক দেশ’ বলতে কী বোঝাচ্ছেন? লোকসভার সঙ্গেই বিধানসভা ভোটে আপত্তি জানিয়ে চিঠি মমতার। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রে মোদী সরকার নয়া বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। বিজেপি ধুয়ো তুলেছে “এক দেশ এক ভোটের”। লোকসভার সঙ্গে সব রাজ্যের বিধানসভা ভোট যেন একসঙ্গে হয়। এ ব্যাপারে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন।এক দেশ এক ভোট অনুসন্ধানে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়ে দিয়েছে মোদী সরকার। ওই উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সচিব নীতেন চন্দ্রকে চিঠি লিখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন, এখানে ‘এক দেশ’ বলতে কী বোঝাতে চাইছেন।সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক কিংবা ঐতিহাসিক পটভূমিতে এক দেশের অর্থ আমরা বুঝি। কিন্তু ভারতের সংবিধানের শর্ত অনুযায়ী এক দেশের অর্থ আমার কাছে বোধগম্য নয় বলে তীব্র কটাক্ষ মমতার।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা চিঠিতে বলেছেন, লোকসভার সঙ্গে সব রাজ্যের বিধানসভা ভোট করবেন কী করে? ১৯৫২ সালে প্রথম সাধারঁ নির্বাচনের সময় থেকে কিছুদিন তা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য ও জাতীয় স্তরে রাজনৈতিক পালাবদলের কারণে সেই তালমিল ভেঙে গিয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, কোটি কোটি টাকা খরচ করে ভোট হয় প্রতি পাঁচ বছর অন্তর।যে সব রাজ্যে পাঁচ বছরের জন্য সরকার গড়তে মানুষ ভোট দিয়েছে, এক সঙ্গে ভোট করাতে গেলে সেখানে সরকার ভেঙে দিতে হবে। সেটা কিভাবে সম্ভব?প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেভাবে এই উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছেন তার তীব্র সমালোচনা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, সমাবেশি মনোভাব নিয়ে এই কমিটি তৈরি করা হয়নি। একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারত একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। অথচ কমিটিতে কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেই রাখা হয়নি। যা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে আঘাত করছে।
তৃণমূলনেত্রীর কথায়, রাজ্যস্তরে নির্বাচনের বিষয়আশয় এক রকম থাকে। জাতীয় স্তরে থাকে অন্যরকম। এক সঙ্গে ভোট করাতে গেলে এই ফারাকটা থাকবে না। কোনও ভাবে জাতীয় স্তরের বিষয় দিয়ে রাজ্যের ভোট করানো যায় না।