রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক : কি হচ্ছে এরাজ্যে ? সরকারি স্কুলে পড়াশোনা ঠিক ভাবে হচ্ছে না। ছিঃ ছিঃ ছিঃ বলে – মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির। কেন এই মন্তব্য করেন তিনি। ঘটনাটি হচ্ছে গোসাবার ছোটমোল্লাখালি (পূর্ব) প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন কানাই চট্টোপাধ্যায়। অসুস্থতার কারণে ২০০৮ সালে ৩ মাসের জন্য ছুটি নেন কানাইবাবু। তাঁর অভিযোগ, তারপর তাকে আর স্কুলে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। ২০১৪ সালে অবসর নেন। অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। এই মামলায় আরও মন্তব্য করেন বিচারপতির অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন : কল্যাণদা (অ্যাডভোকেট কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়) তো আমার পদত্যাগ চেয়েছেন। আমি তো ভাবলাম আজকেই এজলাসে এসে আমাকে পদত্যাগ করতে বলবেন।
কুণাল ঘোষের সঙ্গে বেশ বন্ধুত্ব মতো হয়ে গিয়েছে। একদিন আমার চেম্বারে এসেছিলেন। আমি তো বেশ অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। মানুষটা খারাপ না। আমি একটু অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। উঠে দাঁড়িয়ে আমার সঙ্গে কথা বললেন। ভদ্র মানুষ, ভাল ব্যবহার করলেন। আমিই বা কেন খারাপ ব্যবহার করব,মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “কুণাল ঘোষ একটি উপন্যাস আমাকে পাঠিয়েছেন। বেশ ভাল লিখেছেন। লেখার হাত খুব ভাল। যদিও আমাকে গালাগাল করতে ছাড়ছেন না। আমাকে টুল নিয়ে বাইরে বসতে বলেছেন। আবার মাঝে মধ্যে আমার খবর নেন।”
আগে জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ করত, এখন অন্য কিছু করে। – মন্তব্য বিচারপতির। স্কুল বাদ দিয়ে ব্যবসা করে। – মন্তব্য বিচারপতির।আমাকে আর কিছু বলতে বাধ্য করবেন না। ভগবান বৃদ্ধ হয়েছেন, গোলযোগ সইতে পারেন না,মন্তব্য বিচারপতির অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।