রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক : ইডির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিতাদেশ থাকবে। ওই বিষয়ে পুলিশ কোনও তদন্ত করতে পারবে না।আদালত জানায়, রাজ্যের কাছে কেস ডায়েরি তলব করেছে আদালত। ওই এফআইআর নিয়ে রাজ্যকে হলফনামা দিতে হবে। আগামী ২২ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ইডির আইনজীবী এসভি রাজু এবং ধীরাজ ত্রিবেদী রেশন নিয়ে বড় দুর্নীতি হয়েছে। তার ভিত্তিতে ইডি তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল। সেখানে ইডি অফিসারদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করা হয়েছে। আর ওই ঘটনায় উল্টে ইডি অফিসারদের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত ভাবে এফআইআর দায়ের হয়েছে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন ইডি অফিসাররা কি বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন? ইডির পক্ষের আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী অনেক বার ফোন করা হয়েছে। শাহজাহানের মোবাইল নম্বর ব্যস্ত বলছিল। অফিসারদের অনুমান, সেই সময় শাহজাহান নিজের অনুগামীদের ফোন করছিলেন। কল রেকর্ড থেকে জানা যাচ্ছে, শাহজাহানের ফোন থেকে ২৮টি কল করা হয়েছে। সেই সময় টাওয়ার লোকেশন বলছে শাহজাহান বাড়ির মধ্যেই ছিলেন। পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে প্রায় ৩ হাজার লোক আনা হয়েছিল। ইডি অফিসারদের উপর আক্রমণ হয়। ৭:১৫ মিনিট নাগাদ ইডি শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর করেন। এফআইআর দায়ের হয়েছে। কিন্তু তা প্রকাশ্যে আনা হয়নি।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত এবং আইনজীবী দেবাশিস রায় জানান সুপ্রিম কোর্টের ললিতা কুমারী রায় মোতাবেক অভিযোগ পেয়ে পুলিশ এফআইআর গ্রহণ করে। বিচারপতি রাজা শেখর মান্থারাজ্যের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন এফআইআর করার আগে ন্যূনতম অনুসন্ধান করেছিলেন? ধরুন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপর আক্রমণ করা হয়েছে। ন্যূনতম অনুসন্ধান না করেই কি সঙ্গে সঙ্গে এফআইআর লিখতে বসে যাবেন? আপনার রায় কি সে কথা বলছে?
বিচারপতি: পুলিশের দুটো অভিযোগ নেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে। একটা ঘটনার সঙ্গে অন্যটা মেলানো যাচ্ছে না।
একজন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ থানায় গেলেন। পুলিশকে বললেন, গন্ডগোল হচ্ছে। মহিলা, শিশুদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে। টাকা চুরি করেছে। পুলিশ এফআইআর নিল। আর ওসি স্বাক্ষর করে দিলেন।
আবার দুপুর দেড়টা নাগাদ আরেক জন গিয়ে থানায় উল্টো ঘটনা বলল। তার অভিযোগের ভিত্তিতেও এফআইআর করা হল। আর তাতেও ওসি স্বাক্ষর করে দিলেন।
সেই সময় পুলিশের এক বারও মনে হল না একটু আগে এই একই ঘটনা নিয়ে এফআইআর করে গেল? আগে যে এসেছিল সে অন্য কথা বলেছে। তখন দ্বিতীয় জনকে পুলিশ তো সে কথা বলবে। তা না করে চোখ বন্ধ করে ওসি স্বাক্ষর করে দিল। পুলিশের এটা কি ধরনের বোকামি কাজ?
অর্থাৎ, এখানে কোনও চালাকি করা হয়ে থাকতে পারে। কোনটা আগে এবং কোনটা পরে হয়েছে তা নিয়ে এফআইআর কপি সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠাতে পারি।