Eastmohan’s Super Dual on Friday. The game will be played at Kalinga Stadium.
বিদেশ
দ্যা হোয়াইট বাংলা স্পোর্টস ডেস্ক : সুপার কাপে শুক্রবারই হবে এসপার নয় ওসপার। সেদিন কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে হবে মহাদ্বৈরথ। হেভিওয়েট লড়াই হবে দুই স্প্যানিশ মগজাস্ত্রের। কারণ বড় ম্যাচ যেই দল জিতবে পরের রাউন্ডে যাবে তারা। বাকিরা ফিরবেন খালি হাতেই। তবে কিছুটা অ্যাডভান্টেজ অবশ্যই ইস্টবেঙ্গল দল। কারণ এই ম্যাচ ড্র করলেই নকআউটে চলে যাবে তারা। সেখানে পরের রাউন্ডে যেতে গেলে মোহনবাগানকে ম্যাচ জিততেই হবে। ফলে অল আউট অ্যাটাকেই খেলতে হবে হাবাসের বাগানকে। এমনিতে বাগান কোচ অ্যাটাকিং ফুটবলই খেলতে পছন্দ করেন। তবে ভাঙাচোড়া দল নিয়ে তার পক্ষেই বা আদৌ কতটা কি করা সমভব সেই নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আর সবচেয়ে বড় কথা ইস্টবেঙ্গলের কোচের হটসিটে যে ভদ্রলোক রয়েছেন, তার থেকে ভালো ক্যালকুলেটিভ ফুটবল এবারের আইএসএলের আর কোনও কোচের থেকেই হয়ত দেখা যায়নি। মধ্য মানের দল নিয়েও মুম্বই সিটির মতো দলকে যেখানে বিপাকে ফেলেছেন, ডার্বি জিতিয়েছেন ডুরান্ডে। তাতেই বোঝা যাচ্ছে শুধু গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকার জন্য নয়। কম্বিনেশনের দিক থেকেও অনেক ভালো জায়গায় দলকে রেখেছেন কুয়াদ্রাত। রবিবার ছিল দুই প্রধানের ম্যাচ। মাস্ট উইন ম্যাচে মোহনবাগান হারায় হারয়দরাবাদ এফসিকে। কষ্টার্জিত জয় আসে ম্যাচের শেষ লগ্নে। ৭ মিনিটেই রামলুলচুঙ্গার গোলে এগিয়ে গেছিল হায়দরাবাদ এফসি। এরপর ম্যাচের শেষ লগ্নে মোহনবাগান গোলের দেখা পায়। অবশ্য তা আসে ১০ জনের হায়দরাবাদের বিপক্ষে, সেটাও জেরেমির আত্মঘাতি গোলে। ৮৯ মিনিটে ন্যয্য পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। সেখান থেকে গোল করে দলকে জেতান দিমিত্রি পেত্রাতোস। ২-১ ফলে ম্যাচ জেতে সবুজ মেরুন। এর কিছুক্ষন পরই নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। তাদের কাছেও এই ম্যাচ ছিল মাস্ট উইন। সেখানে শ্রীনিধি ডেকান ফুটবল ক্লাবকে ২-১ গোলে হারায় লালহলুদ। ম্যাচে দুরন্ত গোল করেন টোরো। অবশ্য তার আগে লালহলুদকে এগিয়ে দিয়েছেন হিজাজি মাহের। ১২ মিনিটেই মাহেরের গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ৩১ মিনিটে অন্যবদ্য গোল করেন টোরো। ম্যাচের অন্তিম লগ্নে একটি গোল হজম করে বসে ইস্টবেঙ্গল। এই গোল না খেলে বড় ম্যাচের আগে আরও অ্যাডভান্টেড পজিশনে থাকত ইস্টবেঙ্গল। সামনে রয়েছে আরও চারদিন। তার মধ্যেই নিজেদের রণকৌশল তৈরি করে নিতে চলেছেন দুই স্প্যানিশ কোচ।