west bengal
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
মেঘের আড়ালে “মেঘদূত” এখন সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান। রাজ্য পুলিশ তো বটেই তাকে খুঁজেই পাচ্ছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কর্তারা। তালা বন্ধ ঘরে নোটিশ টাঙিয়ে এসেও কোন লাভ হয়নি।ক্রমশ গভীর হচ্ছে শাহজাহান অন্তর্ধান রহস্য। সোশাল মিডিয়ায় ‘অ্যাকটিভ’ হলেও, পুলিশের কাছে ‘ফেরার’ তৃণমূল নেতা। ইডির তলবেও সাড়া দিচ্ছেন না। ইডির উপর হামলার ঘটনার ২৫ দিন পরও সন্দেশখালির বেতাজ বাদশার খোঁজ পাচ্ছেন না তদন্তকারীরা। কোথায় রয়েছে শাহজাহান? কেন হদিশ মিলছে না, তা নিয়ে আদালতের প্রশ্নের মুখে পুলিশ।
তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিষয় কথা বলে বিতর্কে আগেই জড়িয়ে ছিলেন রাজ্যের কাড়ামন্ত্রী। গত শনিবার শেখ শাহজাহানের প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি উত্তরে জানিয়েছিলেন যেভাবে ইডির আধিকারিকদের মারধর করা হয়েছিল তা একেবারেই সঠিক কাজ হয়নি। অন্যায় করেছি বলেও তিনি জানিয়েছিলেন।
সোমবার ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে বলেন, “শেখ শাহজাহান কী করেছেন আমি জানি না। তবে যতটুকু শুনেছি, ঘটনার দিন উনি ছিলেন না। তবে সন্দেশখালিতে যা হয়েছে, তা না হলেই ভালো হত। কিন্তু বাড়ির বাইরে কারা ছিলেন। কে কী করেছে, তা বিচার সাপেক্ষ। এভাবে বলা সম্ভব নয়।” ইডির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন অভিষেক।
মঙ্গলবার শেখ শাহজাহান প্রসঙ্গে রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ব্রিটিশরা অনেক স্বাধীনতা সংগ্রামীকে খুঁজে পায়নি। এখনও বহু রাজ্যে বহু ক্রিমিন্যাল ঘুরে বেড়াচ্ছে। সবসময় খোঁজ মিলবেই তাঁর কোনও মানে নেই।” যদিও এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, শেখ শাহজাহান যদি অপরাধ করে তবে আদালত শাস্তি দেবে। দল কোনও অন্যায় বরদাস্ত করে না বলেই জানান তিনি। কলকাতা হাইকোর্টে চলা শেখ শাহজাহান অনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হওয়া ইডি আধিকারিকদের মামলায় শেখ শাহজাহানের উপস্থিতি আইনজীবী মারফত বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত আত্মসমর্পণ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
এদিন গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কায় মেঘের আড়াল থেকেই ব্যাংকশাল আদালতে ইডি র বিশেষ আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানায় শেখ শাহাজাহান। যদিও সেই জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। আগামী শনিবার সেই মামলার শুনানি রয়েছে।