The Indian football team is starting the AFC Asian Cup campaign on Saturday
দেশ
দ্যা হোয়াইট বাংলা স্পোর্টস ডেস্ক : শনিবার এএফসি এশিয়ান কাপ অভিযান শুরু করছে ভারতীয় ফুটবল দল। প্রতিপক্ষ শক্তিশালি অস্ট্রেলিয়া। সকারুজরা যেখানে বিশ্বকাপে মেসিদের বিপক্ষেও দুরন্ত লড়াই দেয়। সেখানে তাদের বিপক্ষে জয়ের প্রত্যাশা করা অনেকটা দিবা স্বপ্নের মতো। কিন্তু ঐকান্তিক প্রচেষ্টা থাকলে অন্তত লড়াই টুকু দেওয়া যায়। সেটাই চেষ্টা করতে চলেছেন সুনীল ছেত্রী, সন্দেশ ঝিংগানরা। এটাই শেষ এশিয়ান কাপ সুনীলের কাছে। গতবার ২০১৯ এশিয়ান গেমসে নকআউটের কাছাকাছি পৌঁছে গেলেও শেষ মূহূর্তে বাহরিনের বিপক্ষে পেনাল্টিতে গোল খেয়ে ছিটকে যেতে হয় ভারতকে। সেবারের মতো এবারের গ্রুপও যথেষ্ট শক্তিশালি। রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, উজবেকিস্তান, সিরিয়া। তবে প্রথমে স্রেফ অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ নিয়েই ভাবছেন স্টিম্যাচ। কোচ নিজেও জানেন অজিদের রুখে দেওয়া গেলে,সেটা হবে তার কোচিং কেরিয়ারের অন্যতম সেরা ঘটনা। সুনীলদের তাই ট্যাকটিকাল অনুশীলনের থেকেও বেশি ভোকাল টনিকেই জোর দিচ্ছেন স্টিম্যাচ। এবারের ভারতীয় দলের অন্তত একটা পজিটিভ দিক রয়েছে, প্রত্যেকটি ফুটবলার ৯০ মিনিট টানা দৌড়ানোর মতো ফিটনেস রাখেন। তাই অজিদের বিপক্ষে প্রেসিং ফুটবল নয় বরং চেজিং ফুটবলই হাতিয়াড় হতে চলেছে স্টিম্যাচের। গত বছরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ, ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ এবং ত্রিদেশিয় সিরিজ জিতেছিলেন সুনীলরা। তবে শেষদিকে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে কাতারের বিপক্ষে হার কিছুটা আত্মবিশ্বাস ভেঙেছে টিম ইন্ডিয়ার। শেষ দুই ম্যাচে মাত্র একটি গোল পেয়েছে ভারত, এটাই চিন্তার কারণ সুনীলদের। এই প্রথম পরপর দুবার এশিয়ান কাপে খেলতে নামবে ভারত। 1১৯৬৪ সালে শেষবার নকআউটে গিয়েছিল ভারত, সেবার অবশ্য রানার্স আপ হয়েছিল ভারত। ১৯৫৬ সালে শেষবার অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ভারতীয় ফুটবল দল। বর্তমান অস্ট্রেলিয়া দলকে হারানোর কথা ভাবাও হয়ত ভুল হবে। কারণ অস্ট্রেলিয়া দলে খেলা হ্যারি সুতার, মিচেল দ্রুক বা ক্রেগ গোডউইন, জ্যাক এরভাইনরা ইউরোপের বিভিন্ন সেরা লিগের প্রথম সারির দলেই খেলে। ভারতের গোলে থাকতে পারেন গুরপ্রীত। সমভব চার ডিফেন্ডার নিখিল পুজারি, সন্দেশ ঝিংগান, শুভাশিস বোস এবং রাহুল ভেকে। মাঝমাঠে মহেশ সিং, সুরেশ ওয়াংজাম, সামাদ এবং রালতে। আক্রমনে একা সুনীল,তার একটু পিছনে ছাংতে। এখন দেখার এই দল নিয়ে ২০১৫এএফসি এশিয়ান কাপ চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষ কতটা লড়াই দিতে পারেন সুনীল, ঝিংগানরা।