The Chief Minister commemorated Barama by standing at Matua before the Lok Sabha elections. Appeal to the people of Nadia to stand by
jরাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক : ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে এই জেলার দুটি আসন ভাগ করে নিয়েছিলো তৃণমূল ও বিজেপি। কৃষ্ণনগর আসনে জোড়া ফুল চিহ্নে মহুয়া মৈত্র (বর্তমানে বহিষ্কৃত সাংসদ) জিতলেও, রানাঘাট আসনে জয়লাভ করেন বিজেপির জগন্নাথ সরকার। জেলার ১৭ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপির দখলে রয়েছে সাতটি। কৃষ্ণনগর উত্তর আসনে বিজেপির টিকিটে মুকুল রায় জয়লাভ করলেও বর্তমানে তিনি শাসক শিবিরেই। তবে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে আধিপত্য দেখিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমতাবস্থায় আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে জেলার দুটি আসনেই তৃণমূল কংগ্রেস কে জেতানোর ক্ষেত্রে মতুয়া ভোট যে একটা বড় ফ্যাক্টর তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে আর বেশি কে জানে। সেই কারণে শান্তিপুরের সভা মঞ্চ থেকে মতুয়াদের আরাধ্য “বড়মা”-র প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন তিনি। রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই তাঁর সঙ্গে বড়মার সম্পর্কের কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বড়মা যখন বেঁচে ছিলেন, আমি তখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম না, পনেরো বছর ধরে বারবার ওনার কাছে ছুঁটে গেছি। কেউ খবর নিতো না তখন, ওনার যত চিকিৎসা আমি নিজের টাকায় করেছি যাতে কারও কাছ থেকে সাহায্য নিতে না হয়।” মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “খালি নির্বাচনের সময় মতুয়াদের কথা মনে পড়ে ?” তাঁর দল ক্ষমতায় আসার পর মতুয়াদের জন্য কি কি করেছে তার ফিরিস্তি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজকে বড় বড় কথা! আমরা মতুয়া বিকাশ পরিষদ তৈরি করেছি।ওদের দশ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। নমঃশূদ্র বিকাশ পরিষদ তৈরি হয়েছে।” এরপরই উপস্থিত সমাবেশকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, “আপনারা আমার পাশে থাকবেন তো ? আপনারা যদি আমার পাশে থাকেন তাহলে আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি বাংলা থেকে জিতে আমরা দিল্লি দখল করবোই।” বাংলার ৪২ টি আসন নিয়ে কিভাবে, কোন ইক্যুয়েশনে দিল্লি দখল করা হবে সেটা খোলসা করে না বললেও কিছু ইঙ্গিত দিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, “কোন পলিসিতে করবো, কি করে করবো, আফটার ইলেকশন আঞ্চলিক দলগুলোকে নিয়েই আমরা সবাই একসাথে করবো।” মঞ্চ থেকেই হাত জোর করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দয়া করে সিপিএম, কংগ্রেস কে বিশ্বাস করবেন না। ওরা বিজেপির দালাল।