দেশ
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডি়জিটাল ডেস্ক :- বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে ভারত বনাম আফগানিস্তান সিরিজ। এই টি20 সিরিজে দলে এসেছেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা। 2022 টি20 বিশ্বকাপের পর ফের একবার বিরাট-রোহিত এক সঙ্গে টি20 ফরম্যাটে খেলতে নামবেন। পারফরমেন্সের নিরিখে তার দুজনেই এখনও অনেকের থেকেই এগিয়ে। কিন্তু বিরাট রোহিতদের সঙ্গেই যেই মূহূর্তে হার্দিক পান্ডিয়া , শ্রেয়স আইয়ার এবং সুর্যকুমার যাদব দলে প্রত্যাবর্তন করবেন, তখনই দল থেকে কার্যত বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে গত এক বছরে দুরন্ত পারফরমেন্স করা যশস্বী জয়সওয়াল, জিতেশ শর্মা, তিলক বর্মা বা রিঙ্কু সিংয়ের। প্রথম তিন জনের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিবর্ত ক্রিকেটার রয়েছে। অর্থাত্ ওপেনিংয়ে যশস্বীর পরিবর্তে হিসেবে আছেন শুভমন গিল, ইশান কিশানরা। তিলক বর্মার পরিবর্ত হিসেবে দলে আছেন লোকেশ রাহুল, সুর্যকুমার যাদবরা। তিলক বর্মারও পরিবর্ত ক্রিকেটারের অভাব নেই দলে। শ্রেয়স আইয়ারও চার বা পাঁচ নম্বরে ব্যাটিং করেন। কিন্তু বিরাট রোহিতের দলের ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই সমস্যা তৈরি হয়েছে সাত নম্বর স্থান নিয়ে। কারণ সেখানে সচরাচর অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা ব্যাটিং করে থাকেন। আট নয় দশে, একজন স্পিনার এবং দুই জোড়ে বোলার থাকেন। কিন্তু জাদেজা সাতে ব্যাটিং করলে ফিনিশার রিঙ্কুর জায়গা নাও হতে পারে দলে। কারণ অভিজ্ঞতার দিকে থেকে সুর্যকুমার, হার্দিক, শ্রেয়সরা টেক্কা দিয়ে দেবেন রিঙ্কু সিংকে। কিন্তু শেষ একবছরে আইপিএলের পর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মন জিতে নিয়েছেন রিঙ্কু। যে ভয়ঙ্কর আগ্রাসন তার ব্যাটে লক্ষ করা গেছে শেষ কয়েক ম্যাচে, তাতে তাকেই জাতীয় দলের বর্তমানে সেরা ফিনিশার ধরা হচ্ছিল। বিরাট রোহিতের অনুপস্থিতিতে তিনি দলের অপরিহার্য অঙ্গই ছিলেন। কিন্তু আগরকারদের নির্বাচক কমিটি এত পরিমাণ কোয়ালিটি ক্রিকেটারকে একই দলে রেখে কাজটা সুবিধার পরিবর্তে কঠিনই করে দিয়েছেন রাহুল দ্রাবিড় এবং রোহিত শর্মার কাছে। 12টি ম্যাচের মধ্যে 8টি ইনিংসে ব্যাটিং করেছেন রিঙ্কু সিং। টি20 ফরম্যাটে সেই 8টি আন্তর্জাতিক ইনিংসে রিঙ্কু মোট রান 262। গড় 65-এরও বেশি। স্ট্রাইক রেট দেখার মতো 180।
সাত নম্বরে ব্যাটিং করে 180-র ওপর স্ট্রাইক রেট যে কোনও ব্যাটারেরই মান বলে দিতে পারে। যা প্রতিপক্ষ দলের কাছে ইর্ষণিয় বটে। কিন্তু প্রাক্তন ক্রিকেটার দীপ দাশগুপ্ত বলছেন, বর্তমানে যে দল আফগানিস্তান সিরিজের জন্য বাছাই করা হয়েছে তাতে সমস্যায় পড়বেন রিঙ্কু সিং। কারণ তার দলে জায়গা পাওয়াই কঠিন হয়ে যাবে। অথচ এই দলের তিনি নির্ভরযোগ্য সদস্যই শুধু নয়, অপরিহার্য অঙ্গও হয়ে উঠেছিলেন বটে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে 2023 সালের শেষ দিকে চারটি ম্যাচে ব্যাটিং করেছিলেনষ তিনি করেছিলেন অপরাজিত 22, অপরাজিত 31 রান। অপর দুই ম্যাচে করেছিলেন 46 এবং 6 রান। দঃ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদের দেশে গিয়ে দুই ম্যাচে করেছিলেন যথাক্রমে 68 এবং 14 রান। এই পারফরমেন্সের জন্যই দীপ দাশগুপ্ত বলছেন বিরাট বা রোহিত শর্মা টেস্ট এবং ওডিআইকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। ফলে তাদের বড় ফরম্যাটের জন্য রাখলেই হয়ত ভালো হতে। তাদের দলে আসার ফলে রিঙ্কুর স্থান হতে পারে রিজার্ভ বেঞ্চ। যদিও দিল্লি এখনও বহুদুর। হাতে আছে পাঁচ মাস। তার মধ্যে রিঙ্কু আরও কয়েকবার জলে উঠতে পারলেই টি20 বিশ্বকাপের ভারতীয় দলেও তার স্থান হবে অপরিহার্য তা বলাই বাহুল্য। 2022 সালে যে দল টি20 বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে হেরেছিল, সেই দলের সঙ্গে বর্তমান দলের কোনও পার্থক্য না থাকায়, বিষয়টি মন পসন্দ হচ্ছে না বেশ কয়েকজন প্রাক্তন ক্রিকেটারের। এখন দেখার দলের অন্দরের এই স্বাস্থকর লড়াই শেষে দেশকে বহু কাঙ্খিত বিশ্বকাপ এনে দিতে পারেন কিনা কোচ রাহুল দ্রাবিড়, অধিনায়ক রোহিত শর্মারা।