Kolkata
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা:
কথায় বলে “কারোর পৌষ মাস তো কারোর সর্বনাশ”।পৌষ সংক্রান্তি শেষে ভরা বিয়ের মরশুম। মাঘমাস পড়তেই পড়ায় মহল্লায় অলোক সজ্জায় রঙিন হয়েছে বিয়ে বাড়ি গুলো। সেই বিয়ে করার ইচ্ছেতেই ইডি অফিসার পরিচয় ! ব্যাস বিয়ে করার ফন্দি আর সফল হলো না! ধরা পড়তেই বিয়ের আগে রাম ধোলাই। পাত্রী পক্ষের খোঁজ খবরের জালিয়াতি ধরা পড়ে গেল। নিজেকে ইডি আধিকারিক বলে পরিচয় দিয়েছিল অভিযুক্ত সোনারপুরের বাসিন্দা প্রদীপ সাহা। অভিযোগ, বিরাটির বাসিন্দা এক যুবতীর সঙ্গে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়াতে যোগাযোগ হয়। এর পর তাঁদের মধ্যে পরিচিতি বাড়ে। অভিযুক্ত প্রদীপ নিজেকে ইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে মেয়েটিকে বিয়ে করতে চান। দুজনের বিয়ের কার্ড পর্যন্ত ছাপা হয়ে গিয়েছিল। মেয়েটির পরিবারের লোকেদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা ইডি দপ্তরে এসে প্রদীপ সাহার সম্বন্ধে খোঁজ নেন।
বিয়ের আগে প্রদীপ সাহা পাত্রের ব্যাপারে
খোঁজখবর নিতেই বিয়ের আগের দিন ভেস্তে গেল যুবকের লোক ঠকানোর ছক। শেষপর্যন্ত মঙ্গলবার ভুয়ো ইডি অফিসারকে সিজিও কমপ্লেক্সের গেটে বেঁধে পেটানো হয়। পরে তাঁকে নিয়ে চলে যায় অভিযোগকারী পরিবারের সদস্যরা। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযোগ, ইডি অফিসার সেজে একাধিক পরিবারকে ঠকিয়েছেন ওই যুবক। চক্রে যুক্ত রয়েছে অভিযুক্তর বাবা-মাও।
মঙ্গলবার প্রদীপ সাহাকে হাত বাঁধা ও গলায় ইডির ভুয়ো আই কার্ড ঝোলানো অবস্থায় বেঁধে নিয়ে তাঁরা উপস্থিত হয় ইডি অফিসে। ইডি অফিসের বাইরে অভিযুক্ত প্রদীপকে মারধর করে তারা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় অভিযুক্তকে গাড়িতে করে নিয়ে চম্পট দেয় অভিযোগকারীর পরিবার। এবিষয় পুলিশে নজর এড়িয়ে যেতে পারেনি। ভুয়ো পাত্র কে অবশেষে পুলিশ গ্রেফতার করে।