West Bangal
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: নজিরবিহীন ভাবেই কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির এজলাস থেকে থেকে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত মামলা সরে গেল অন্য এজলাসে। বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ থেকে প্রাইমারি এবং আপার প্রাইমারির মামলা সরে গেল। তাই নয় বিচারপতি সৌমেন সেন ব্যক্তিগত কারণে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা ছেড়ে দিলেন। সকালবেলায় এ বিষয় নিয়ে রাজ্যের শীর্ষ আদালতে যখন চূড়ান্ত আলোচনা পর্যালোচনা চলছিল তারপরেই কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য। যেদিন বিচারপতি সৌমেন সেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এর উদ্দেশ্যে জানান তিনি শ্রদ্ধা করার মতন মানুষ। একে অপরের বিরুদ্ধে যেন যুদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেন বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। এরপর থেকেই বিচারপতির একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য। যে কারণে দেশের শীর্ষ আদালত হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়। শনিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করে। তারি মাঝে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দুটি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এসএলপি করেন। যদিও সেই মামলায় রাজ্য সরকারকে নোটিশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ছয় মাস অন্তর বিচারপতিদের বিষয় অর্থাৎ কোন কোন সংক্রান্ত মামলা তারা শুনতে পারবেন তার রদবদল চলে। কিন্তু আচমকাই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সৌমেন সেনের এজ্লাস থেকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির সংক্রান্ত সমস্ত মামলা সরে যাওয়ায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের অলিন্দে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এর প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় মামলা আগামী দিনে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা শুনবেন। এবং বিচারপতি সৌমেন সেনের প্রাইমারি আপার প্রাইমারি নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত মামলা শুনবেন বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ডিভিশন বেঞ্চ। তবে হাইকোটে কান পাতলে যেটা শোনা যাচ্ছে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সৌমেন সেন এর মধ্যে বেনজীর সংঘাতে জেরেই কলকাতা হাইকোর্টের রসটার অফ দা মাস্টার অর্থাৎ প্রশাসনিক প্রধান এই নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।