What exactly did he say about “Kalighat Puja” to remove Justice Abhijit Gangopadhyay?
kolkata
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
শিক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় মামলা তার কাছে এখন অতীত! গত তিনদিন ধরে তিনি এজলাসে বসেনি। শুক্রবার সম্মোহিমায় এজলাসে ফিরেই বাক্যবানে নিজের উপস্থিতি স্পষ্ট করে দিলেন। “জঙ্গলে বাঘ ছাড়া যেমন বেমানান, তেমনি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় হাইকোর্টে না থাকাটাও যেন শুন্যতা গ্রাস করেছিল বলেই মনে করছেন আইনজীবী মহলের একাংশ।
প্রাথমিকের সমস্ত মামলা গুলি এজলাস থেকে সরিয়ে নেওয়া শুক্রবার প্রথম মুখ খুললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
তিনদিন পর এজলাসে বসে বিচারপতির মন্তব্য ” গত বছর যখন শ্রম সংক্রান্ত মামলা শুনতাম তখন শুনেছিলাম অনেকেই দক্ষিণেশ্বরে গিয়ে পুজো দিয়ে এসেছিলেন মা একে সড়াতে বলে। এখন মনে হয় স্কুল জেলা পরিদর্শক ও অন্যান্যরা কালীঘাটে গিয়ে পুজা দিয়েছেন” নিজের শুনানির বিষয় (ডিটারমিনেশন) বদল হওয়া নিয়ে এজলাসে বসেই প্রতিক্রিয়া বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
প্রসঙ্গত, সরকারি মেডিকেল কলেজ ভর্তি সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ছাত্র-ছাত্রীদের জমা দেওয়া জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। জাতিগত শংসাপত্র জাল করে মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তেও নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ হবার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেন। এরপর যা ঘটনা ঘটেছিল এর রাজ্যের মানুষের জানতে আর বাকি ছিল না। 2 বিচারপতির মধ্যে সংঘাতের জেরে দেশের শীর্ষ আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। সুপ্রিম কোর্টের ফিরে যায় মেডিকেল ভর্তি সংক্রান্ত মামলা। সিবিআই তদন্তের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগি তাতে জারি করে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের দ্বিতীয় শুনানির পরেই কলকাতা হাইকোর্টের ছবিটা একলহমায় বদলে যায়। বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিকের সমস্ত মামলা চলে যায় বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ডিভিশন বেঞ্চে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রেডলাস থেকে প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় মামলা চলে যায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে।
কলকাতা হাইকোর্টের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বর্তমানে ত শ্রম ও শিল্প বিবাদ সংক্রান্ত মামলার শুনানি করতে পারবেন।