The case of the Bangladeshi panchayat chief was transferred to another bench
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
বাংলাদেশী পঞ্চায়েত প্রধানের মামলা স্থানান্তরিত হল অন্য বেঞ্চে। পঞ্চায়েত ভোটে জিতে প্রধান পদে বসার অভিযোগ উঠেছিল এক বাংলাদেশী নাগরিকের বিরুদ্ধে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় মহকুমা শাসককে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মঙ্গলবার সেই রিপোর্ট জমা পড়ার পর মামলাটি বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য বেঞ্চে স্থানান্তর করেছেন বিচারপতি সিনহা।
অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদহের চাঁচলে একটি একটি আসনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন লাভলি খাতুন নামে এক মহিলা। অভিযোগ তিনি ভারতীয় নন। আদতে তিনি বাংলাদেশী নাগরিক। ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র বার করে তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জেতার পর আপাতত তিনি পঞ্চায়েত প্রধান হিসাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।
গ্রামবাসী পাঁচ মামলাকারীর অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বিডিওর কাছে অভিযোগ জানানো সত্বেও কোন সূরাহা হয়নি। তাদের আরো অভিযোগ লাভলী খাতুনের জন্ম বাংলাদেশ। তারপর এদেশে আসার পর এক ভারতীয় সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তার বাবা হিসেবে কাগজে-কলমে যার নাম রয়েছে তিনি তার জন্মদাতা পিতা নন। দত্তক পিতা হিসেবে তার নাম রয়েছে। কিন্তু মুসলিম আইনে দত্তক গ্রহণযোগ্য নয়। এবং এক্ষেত্রেই নথি বিকৃত করে লাভলী খাতুন জাল শংসাপত্র বার করেছেন বলে অভিযোগ। সেই শংসাপত্র বাতিলের দাবিতেই মামলা দায়ের হয়েছিল। এদিন রিপোর্ট দেখার পর বিচারপতি জানান শংসাপত্র বাতিল সংক্রান্ত বিষয়টি তার আদালতের বিচার্য নয়। তাই সেটি নির্ধারিত বেঞ্চে অর্থাৎ বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে।