west Bengal
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পর স্বস্তি পেয়েছিলেন ২০২২সালের প্রাথমিকের ৯৫৩৩ জন চাকরি প্রার্থী। সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে মেধাতালিকা প্রকাশ করার পরেই ফের কলকাতা হাইকোর্টে আইনি জটিলতা। কবে মিলবে চাকরি ? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন! কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ সুমন্ত কোলে-সহ বিএড ও ডিএলএড ডিগ্রিধারী ১০জন নিয়োগ প্রার্থী। মামলার অনুমতি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।মামলাকারীর দাবি, বিএড ও ডিএলএড থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেয়নি পর্ষদ। বিএডে নম্বর বেশি থাকায় নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় বিএড ডিগ্রি দেখান মামলাকারীরা। ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্ট বিএড ডিগ্রিধারীদের প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না বলে রায় দেয়। এমতাবস্থায় বিএডের পরিবর্তে ডিএলএড ডিগ্রি দেখাতে আবেদন করেন তাঁরা। কিন্তু পর্ষদের পক্ষ থেকে কোন সবুজ সংকেত না পাওয়ায় নিরুপায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা।
মামলার বয়ান অনুযায়ী ২০২২ সালে ১১ হাজার ৭৬৫টি শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। ২২সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়ে গিয়েছিল ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ পাওয়ার আবেদন জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ কিছু প্রার্থী। কারণ, তাঁরা ডিএলএড কোর্সে ভর্তি হলেও নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময়ে মার্কশিট হাতে পাননি। সেই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সেই মামলাতেই প্রাথমিকের মেধাতালিকা প্রকাশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। অন্তর্বর্তীকাল স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়ে যাওয়ার পরেই তড়িঘড়ি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে তারা মেধা তালিকা প্রকাশ করেছিলেন। খুব বেশিদিন সইলো না ৯৫৩৩ জন চাকরি প্রার্থীর। ফের আইনি জটে তাদের ভবিষ্যৎ ঝুলে রইল।