রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর স্কুলে শিক্ষকদের উপর বহিরাগতদের আক্রমনের ঘটনায় বারুইপুরের এসডিওকে আপাতত ঐ স্কুল পরিচালনার দায়িত্ব নিতে নির্দেশ। প্রধান শিক্ষক মাধ্যমিক পরীক্ষা চালাকালীন ঐ স্কুলে ঢুকতে পারবেন না।
এসপিকে নির্দেশ ব্যাক্তিগতভাবে এই মামলার তত্ত্বাবধান করতে। প্রধান শিক্ষককে তার বক্তব্য আগামীকাল আদালতকে জানাতে নির্দেশ।
কারা স্কুলে তাণ্ডব চালালো? পঞ্চায়েত সদস্য? তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে অবিলম্বে মন্তব্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর।
অনিন্দ্য কুমার চট্টোপাধ্যায় ও তপন কুমার সিনহা – এসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর ও ডেপুটি ডাইরেক্টর অফ স্কুল এডুকেশনকে আগামীকাল আদালতে হাজির হতে নির্দেশ কারন স্কুলের বিষয়ে তারা যে অনুসন্ধান করতে গেছিলো তা যথাযথ হয়নি বলে উল্লেখ বিচারপতি বসুর।
১২ অক্টোবর ২০২৩ ডিয়াই একটা রিপোর্ট দিয়েছিলেন। অক্টোবর মাসে আইসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ডিয়াইকে সহযোগিতা করার জন্য।কিন্তু সেই রিপোর্টে কোথাও শিক্ষকরা আক্রান্ত এই বিষয়ের উল্লেখ ছিলো না।
নভেম্বর মাসে একজন অডিটর নিয়োগ করা হয়েছিল অর্থনৈতিক বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য।কিন্তু তিনি তার কাজ করতে পারেননি গোলমালের জন্য।
*সনু মণ্ডল এবং মহেশ্বর নাড়ু নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানালেন নরেন্দ্রপুর থানার আইসি।
প্রধান শিক্ষকের আইনজীবী জানালেন, তিনি কোনো ভাবেই যুক্ত নন।তিনিই ঝামেলা মেটাতে পুলিশকে ডেকেছিলেন।
আইসিকে বিচারপতি বলেন,এফয়াইয়ারে নাম রয়েছে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য, প্রধান শিক্ষকের, এদের গ্রেফতার করার কি হবে? আজকের মধ্যেই গ্রেফতার করতে হবে পারবেন?
আইসি জানালেন তিনি চেষ্টা করবেন।বারুইপুর এসপিকে এই মামলার তদন্তের বিষয়ে তত্ত্বাবধান করতে নির্দেশ বিচারপতি বসুর।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী কোয়েলী ভট্টাচার্য জানালেন, আদালত যদি নির্দেশ দেয় তারা ওনার জায়গায় অন্য কাউকে প্রধান শিক্ষকের পদে বসাতে পারেন।আদালত ঐ ব্যাক্তিকে সাসপেণ্ড করার নির্দেশ দিলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাজ সহজ হয়ে যায়।আপাতত মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালনার জন্য ঐ স্কুলে একজন ইনচার্জকে নিয়োগ করতে প্রস্তুত তারা।
প্রধান শিক্ষকের আইনজীবী – তারক চন্দ্র ঘোষ নামে এক শিক্ষক শিশু নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
কোনো ভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষা যেনো বিঘ্নিত না হয় সেদিকে কড়া নজরদিতে নির্দেশ আইসিকে।