দেশ
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক : “ন্যায় যাত্রায়” রাহুল তৃণমূল গড়ে পা না ফেললেও রাজ্যের দুর্নীতির ইস্যুকে যে প্রাধান্য দেবে টা স্পষ্ট করেছে AICC! কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর ৫ দিনের ন্যায় যাত্রা শুরু করেছে। চলবে ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত।পশ্চিম বঙ্গের ৭ জেলা ছুঁয়ে যাবে। এরাজ্যের উত্তর বঙ্গের জেলা গুলিতে ন্যায় যাত্রা হলেও দক্ষিণ বঙ্গের জেলা গুলিতে ঢুকবে না। রোড শো’র সঙ্গে সুযোগ মতো হবে পদযাত্রা। চলবে ‘জন সংযোগ’। ফাঁকে ফাঁকে ভাষণও দিতে পারেন রাহুল। বুধবার শিলিগুড়িতে প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে সেই কথা জানিয়ে দিল এআইসিসি । প্রাথমিক আলোচনার পর রুট চূড়ান্ত করতে দু-একদিনেই রাজ্যে আসছে রাহুল গান্ধীর বিশেষ সদস্যরা।এআইসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনেই অসমের দিশপুর হয়ে কোচবিহারে ঢুকবে রাহুলের রোড শো। বক্সিরহাট, তুফানগঞ্জ, ফালাকাটা, ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, বাগডোগরা, নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি হয়ে ঢুকবে বিহারের পূর্ণিয়ায়। দ্বিতীয় দফায় মালদহ, মুর্শিদাবাদ হয়ে তিনি যাবেন ঝাড়খণ্ড।
উত্তর বঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় যাত্রা করলেও উত্তর বঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে ন্যায় যাত্রা র রোড শো করছেন না রাহুল। উত্তর বঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের শরিক তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট ব্যাঙ্ক দুর্বল, বিজেপির একাধিক আসন রয়েছে। ২০২৪এর লোকসভা নির্বাচনে কথা মাথায় রেখেই দক্ষিণবঙ্গে যেহেতু তৃণমূল কংগ্রেসের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে তাই সেখানে কংগ্রেস থাবা বাসাতে চাইছে না কংগ্রেস সেটা স্পষ্ট রাহুল গান্ধীর সফর সূচিতে। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে মণিপুর থেকে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা শুরু হচ্ছে। প্রতিটি রাজ্যে দলের সাধারণ সম্পাদককে মাথায় রেখে ১৬ জনের কমিটি গড়ে দেওয়ার কথা। যাত্রার যাবতীয় দায়িত্ব থাকবে এই কমিটির হাতে। এ নিয়ে চলতি সপ্তাহেই প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে কলকাতায় আসছেন এআইসিসি নেতৃত্ব। এদিন এ নিয়েই আলোচনাপর্বে ছিলেন কংগ্রেসের সম্পাদক ভিপি সিং, বিনয় তামাং, শংকর মালাকার, মনোজ চক্রবর্তীরা। যে বৈঠক শেষে ভিপি সিং বলেন, “এই যাত্রা হবে সাধারণ মানুষের ন্যায়ের লক্ষ্যে।
রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা কেন পাহাড়ে পা রাখছে না সেই প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা বিনয় তামাংTHE WHITE BANGLA কে জানিয়েছেন “ভৌগোলিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে অনেক। তাই ন্যায় যাত্রা পাহাড়ে যাবে না। তবে পাহাড় থেকে অনেকে আসবেন যাত্রায় সামিল হতে। রাহুল গান্ধীকে আমি ভোটের প্রচারে পাহাড়ে আসার জন্য দিল্লিতে গিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছি”। ২৪শের লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে কংগ্রেসে আসন বোঝাপড়া হয়নি। ইন্ডিয়া জোটের একাধিক বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু কে কোথায় কটা আসন ছাড়বেন তাও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কিন্তু উত্তর বঙ্গে শাসক দল বেশ দুর্বল তাই সেখানে ভারতজোড়া ন্যায় যাত্রা করতে চাওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। দক্ষিণ বঙ্গে শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ শক্তিশালী তাই জোটের শরিককে বেকায়দায় ফেলতে চাইছেন না এআইসিসি এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।