জাতীয়
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: last 30 years three chief minister was arrested by ED
দুর্নীতির পাশাপাশি ঘুষ কাণ্ডে শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন প্রথমবার নয় নয়। এর আগেও দুই মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেন ও মধু কোড়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন।ঝাড়খণ্ডেই দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন আরও এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মধু কোড়া। ঘুষ নিয়ে কয়েকটি সংস্থাকে নিয়ম ভেঙে কয়লা ব্লকের বরাত পাইয়ে দেওয়া এবং সেই অর্থ বিদেশে পাচারের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে যে কারণে ২০০৯ সালের গ্রেপ্তার হতে হয়েছিল ইডি তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে।
জমি দুর্নীতি মামলায় মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন গ্রেপ্তার হয়েছেন ইডি আধিকারিকদের হাতে। গত ৩০ দিন নিখোঁজ থাকার পরে বুধবার তার বাসভবনের সামনে তাকে দেখতে পাওয়া যায়। তারপর ইডি আধিকারিকদের মুখোমুখি হয়ে একের পর এক প্রশ্নের উত্তরে একাধিক সঙ্গতি খুঁজে পায় ইডি আধিকারিকরা। এরপরেই তিনি রাজ্যপালের কাছে পৌঁছে যান সেখানেই তিনি তার ইস্তফা পত্র দিয়ে দেন। আরজেডি কংগ্রেস এবং জে এমএমের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করে ফেলেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দুর্নীতি এবং খুনের মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন ঝাড়খণ্ডের আরও এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী— হেমন্তের বাবা তথা জেএমএমের প্রতিষ্ঠাতা শিবু সোরেন।
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারি নিয়ে সরব কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এক হাত নিলেন মোদী সরকার এবং কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিকে। সমাজমাধ্যমে জানালেন, ইডি, সিবিআই, আয়কর দফতর এখন আর সরকারি সংস্থা নয়। বরং বিজেপির হাতিয়ার। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার জন্য নিয়োজিত ‘সেল’।
এক্স (সাবেক টুইটার)-এ রাহুল লিখলেন, ‘‘ইডিসিবিআই, আয়কর দফতর এখন আর সরকারি সংস্থা নয়। তারা এখন বিজেপির ‘বিরোধী নির্মূল সেল’। বিজেপি, যারা নিজেরাই দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে, ক্ষমতার চরম লোভে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অভিযান চালাচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডে শাসকজোটে রয়েছে কংগ্রেস।