December 6, 2024 4:05 pm

২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

December 6, 2024 4:05 pm

২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জ্ঞানবাপী মসজিদের সিল করা তহখানায় হিন্দুদের পুজো করার অনুমতি দিল বারাণসীর জেলা আদালত।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Pinterest
Pocket
WhatsApp

National

দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:

বারাণসীর বিতর্কিত জ্ঞানবাপী মসজিদের সীল করা নিচের অংশে তথা তহখানা হল মসজিদের নীচের ভূগর্ভস্থ ঘর বা পাতালঘর।
জ্ঞানবাপী মসজিদের নীচে এমন চারটি তহখানা রয়েছে। এর মধ্যেই দক্ষিণ দিকের তহখানাটিতে এখনও ব্যাস পরিবারের মালিকানাধীন। তাই তহখানাটির নাম ‘ব্যাস কি তহখানা’। আদালত হিন্দুপক্ষকে এই ‘ব্যাস কি তহখানা’তেই পুজো করার অনুমতি দিয়েছে।
বিতর্কিত ওই মসজিদের নিচে রয়েছে হিন্দু মন্দির। আর তাই নিয়েই বিতর্কের জেরে ১৯৯৩ সাল থেকে সেখানে বন্ধ রয়েছে হিন্দুদের প্রার্থনা।

হিন্দু ভক্তদের পক্ষে আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন জানিয়েছেন, যে, মসজিদের নিচে যেখানে হিন্দুদের মন্দির আছে বলে ধারনা সেখানেই প্রার্থনার অনুমতি দিয়েছে আদালত।
পাশাপাশি তিনি আর জানিয়েছেন জৈন বলেন, ‘ব্যাস কা তহখানা’য় হিন্দুদের প্রার্থনা করার যাবতীয় আয়োজন করতে হবে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে। সাত দিনের মধ্যেই ওই তহখানার অধিকার নিজের হাতে নেবেন তিনি। এর মধ্যেই পুজোর আয়োজনও করতে হবে তাঁকে। সেই সঙ্গে তহখানার অন্দরের নিরাপত্তা এবং যাতে সেখানে কোনও কিছু বদলানো না হয়, সে দিকেও নজর দিতে হবে তাঁকেই।আদালত জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে এ ব্যাপারে আগামী ৭ দিনের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে প্রার্থনার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। ওই প্রার্থনার জায়গাটিকে বলা হয় ‘ব্যাস কা তেখানা’।

মুসলিম সংগঠন অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির পক্ষে মামলাকারীদের আইনজীবী আখলাক আহমেদ বলেছেন, আদালতের এই অনুমোদনের বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতে যাবেন। মসজিদ কমিটির আবেদনের উপর শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ৮ ফেব্রুয়ারি। সেখানেই তাঁরা ওই পূজা অর্চনার সিদ্ধান্ত বাতিলের আবেদন জানাবেন।

অপরদিকে বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ৪ হিন্দু মহিলা ওই হিন্দু মন্দির আছে বলে বিতর্কিত স্থান খনন ও বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের আবেদন জানিয়েছেন।গত ২৫ জানুয়ারি হিন্দু পক্ষের তরফে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগের (আর্কিয়োলজিক্যল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বা এএসআই) একটি সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনে বলা হয়েছিল, জ্ঞানবাপী মসজিদের বর্তমান কাঠামোর আগে ওই চত্বরেই বড় হিন্দু মন্দিরের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এর পাশাপাশি মসজিদের নতুন এবং পুরনো কাঠামোতে দেবনাগরী লিপিও পাওয়া গিয়েছে। যেখানে উল্লেখ রয়েছে হিন্দু দেবদেবীর নাম। এই রিপোর্টের পরই জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘সিল’ করা এলাকা খুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল হিন্দু পক্ষ।অনেকটা রাম মন্দিরের মতো বিতর্কিত এই মসজিদ ও মন্দির সম্পর্কিত ঘোলা জল কীভাবে ও কত দিনে শান্ত হয় সেদিকেই তাকিয়ে আছেন হিন্দুরা।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Pinterest
Pocket
WhatsApp

Related News

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top