রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক : দলীয় নির্দেশ অমান্য করে কেউ কোনও কথা বললে তাঁকে বহিষ্কারও করা হতে পারে! দলীয় নেতৃত্বকে ফের কড়া বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
বুধবার কালীঘাটের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা নেতৃত্বদের নিয়ে কালীঘাটের বৈঠকে পরিষ্কার বাংলা ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন “সবাই মুখপাত্রর মতো আচরণ করছে। যে যার ইচ্ছে বলে দিচ্ছে। সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করছে। এটা বন্ধ করতে হবে। দলে এবার থেকে চালু সেন্সরশিপ। দলের ভিতরের কথা বাইরে বলা যাবে না। কোনও ব্যক্তিগত আক্রমণ সোশাল মিডিয়ায় করা যাবে না। দলে সবার গণতন্ত্র আছে। স্বাধীনতা আছে। দলের অভ্যন্তরে কিছু সমস্যা হতেই পারে। সেটা বলতে হবে দলেই। সংবাদমাধ্যমে তা বলা যায় না।” দলনেত্রীর আরও সংযোজন, “কোনও ঝগড়াঝাঁটি বরদাস্ত করা হবে না। দল যাঁকে বলতে বলবে একমাত্র তিনিই সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলবেন। বাইরে মুখ খোলা যাবে না।”।
২৪এর লোকসভা নির্বাচনের আগে কালীঘাট থেকে ফের সংঘবদ্ধ লড়াইয়ের বার্তাও দেন মমতা। বলেন, “সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”মার্চের শেষ বেলায় লোকসভা নির্বাচন ঘণ্টা বেজে যাবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলছেন লোকসভা নির্বাচনের আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত ঘাসফুল শিবির। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনায় বার বার সামনে এসেছে সাংসদ অর্জুন সিং এবং বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের বাকতরজা। দলের নির্দেশে অর্জুন চুপ করলেও, সোমনাথ শ্যামকে লাগাম টানা যায়নি। আবার উত্তর ২৪ পরগনার অশান্তির মাঝেই হুগলির বলাগড়েও তুঙ্গে গোষ্ঠীকোন্দল। বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর সঙ্গে স্থানীয় নেত্রী রুনা খাতুনের দ্বন্দ্ব চরম আকার নেয়। অশান্তির জল গড়ায় থানাতেও।বার বার সোশাল মিডিয়ায় ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করেছেন হুগলির বলাগারের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী।। সাম্প্রতিক অতীতে একের পর এক নেতার আচরণে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির। দিন কয়েক আগেই উত্তর চব্বিশ পরগনা চাকলায় কর্মী সভা থেকে তীব্র হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উত্তর ২৪ পরগনার সংগঠনের রাশ আপাতত নিজের হাতেই রেখেছেন তৃণমূল সুপ্রিম। রেশন দুর্নীতি মামলায় বেশ খানিকটা বেকায়দায় পড়ে গিয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ২৪ শে লোকসভার নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনার এই পাঁচটি আসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পার্থ ভৌমিক সব্যসাচী দত্ত চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য তাপস রায় কাকলি ঘোষ দস্তিদার সুজিত বসু সহ উত্তর চব্বিশ পরগনার একাধিক প্রথম সারির নেতাদের নিয়ে একটি কোর কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।