kolkata
নিজস্ব প্রতিনিধি :
পুলিশের অপদার্থতায় নারী নির্যাতনে ঘটনা! মন্তব্য বিচারপতির। ফের একবার আহামস্ট্রিট থানার বিরুদ্ধে তদন্তের গাফিলতির অভিযোগ হাইকোর্টে। গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ থাকলে পুলিশ ৩০২খুনের মামলা রুজু করেনি বলে মৃতার পরিবারের অভিযোগ। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর নির্দেশ খুনের মামলার পাশাপাশি তথ্য প্রমাণ লোপাটের ধারা রুজু করে সিআইডিকে তদন্ত করার নির্দেশ।।
খাস কলকাতায় আমাহস্ট্রিট থানা এলাকার বাসিন্দা শালিনী মিত্র বয়স ৩৬ ও তাঁর স্বামীর সাথে বাবার দেয়া ফ্ল্যাটে বাস করতেন ।
গত ২৪শে নভেম্বর শালিনী দেবী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। পরিবারের অভিযোগ মেয়েটির গায়ে ইচ্ছাকৃত আগুন লাগিয়ে দেয় স্বামী । যে সময় আগুন লাগে সেই সময় তাঁর স্বামী মেয়েটির দিদিকে ভিডিও কল করে দেখায় মেয়েটি পুড়ে যাচ্ছে । একবারের জন্যও তাকে বাঁচাবার চেষ্টা করেনি স্বামী । বোনকে এভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে দেখে তড়িঘড়ি দিদি সেখানে গিয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। গত ৫ ডিসেম্বর নির্যাতিতা মারা যান।
পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। পরে অভিযোগ নিলেও পণের দাবিতে খুনের ধারায় মামলা রুজু করে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন নির্যাতিতার পরিবার। বুধবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে মামলা শুনানিতে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ এই ঘটনায় খুনের ধারা রুজু করেনি পুলিশ। পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ আনে শালিনী দেবী র পরিবার ।
সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের নির্দেশ ৩০২ ধারা যোগ করতে হবে, পাশাপাশি ২০১ তথ্য প্রমাণ লোপাটের ধারা যোগ করতে বলে সিআইডিকে। ।