দেশ
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক : দেশে লোকসভা নির্বাচনে আসন্ন। নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিএবং সিবিআই ততই বাড়ছে তাদের সক্রিয়তা। পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েক মাস ধরে ইডি সক্রিয়তা চোখে পড়ার মতো। তেমন বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব থেকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের পর এবার কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা। কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে জেকেসিএ আর্থিক দুর্নীতি মামলায় তলব করল ইডি। ওই আর্থিক তছরুপের মামলায় বৃহস্পতিবারই শ্রীনগরের ইডি অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ইডি সূত্রে খবর। যদিও শ্রীনগরের সাংসদ আজ হাজিরা দেবেন কিনা সেটা স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য, ওই একই মামলায় তদন্ত করছে আরেক কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। তারা ইতিমধ্যেই মামলায় একটি চার্জশিট পেশ করেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধে প্রথম দফায় চার্জশিট পেশ করা হয়। ওই মামলায় ফারুক ছাড়াও আরও তিন জনের বিরুদ্ধে ২০০২ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ক্রিকেট সংস্থার ৪৩.৬৯ কোটি টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ ওঠে। ইডির দাবি, ২০০৬ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ফারুক জেকেসিএ থেকে ৪৫ কোটি টাকারও বেশি সরিয়ে ফেলেন।পাশাপাশি ইডির পক্ষ থেকে জেকেসিএ আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ২০২০ সালে জম্মু-কাশ্মীরে ফারুকের তিনটি বসতবাড়ি, একটি বাণিজ্যিক এবং চারটি জমি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। ওই সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১১.৮৬ কোটি টাকা। ফারুকের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একের পর এক পদক্ষেপকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসেবেই দেখছে তাঁর দল ন্যাশনাল কনফারেন্স।ইতি মধ্যেই আর্থিক দুর্নীতির মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।