Sheikh Shahjahan strongly pushed the court in the anticipatory bail case.
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
সন্দেশখালি কাণ্ডে জামির মামলায় ব্যাংকশাল আদালতে জোর ধাক্কা খেলো সন্দেশখালি বেতাজ বাদশা ,পুলিশী ফেরার শেখ শাহজাহান। সোমবার কলকাতার ব্যাংক শালা আদালতে আগাম জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল শেখ শাহজাহানের। এদিন তার আইনজীবীর দাবি ছিল গ্রেপ্তার করা হবে না বলে জানানো হলে হাজিরা দেবেন তৃণমূল নেতা। তার তীব্র বিরোধিতা করেন ইডির আইনজীবী।
সন্দেশখালি এখন আর সন্দেশ খালিতে নেই, আন্দোলনের স্রোত বইছে রাজ্য জুড়ে। উত্তপ্ত সন্দেশখালি সূত্রপাত রেশন দুর্নীতির মামলায় ইডি আধিকারিকদের মারধরের ঘটনায় যোগ রয়েছে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে। এক মাসেরও বেশি সময় হয়ে গিয়েছে বেপাত্তা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মত্স্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষের শেখ শাহজাহান। হন্যে হয়ে চলছে তার খোঁজ। আর এরই মধ্যেই একের পর এক মারাত্মক সব অভিযোগ উঠে আসছে শাহজাহানের বিরুদ্ধে।
উত্তপ্ত সন্দেশখালিতে এখন শুধু রেশন দুর্নীতি নয়, এবার তৃণমূল পার্টি অফিসের ভিতরেই ধর্ষণের মতো মারাত্মক অভিযোগ উঠল শাহজাহানের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ সামনে আসার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় রাজ্যের ডিজিপি রাজীব কুমারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরেই সন্দেশখালিতে মুখ খুলেছে মহিলারা। রাত দশটা বাজলেই আতঙ্কের প্রহর গুনতে শুরু করতো সেখানকার মহিলারা এমনটাই বারবার সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন তারা। তাদের অভিযোগ তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। শনিবার নতুন করে ফের বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামের মহিলারা। শাহজাহান শেখ এবং তার দুই ঘনিষ্ঠ নেতা শিবু হাজরা আর উত্তমের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগে জ্বলে ওঠে গোটা এলাকা। বিশাল পরিমাণ পুলিশ বাহিনী নামিয়েও পরিস্থিতি শান্ত করা যায়নি। জারি করে দেওয়া হয় ১৪৪ ধারা। বন্ধ রাখা হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও।শাহজাহান, শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার-সহ একাধিক নেতাদের বিরুদ্ধে পথে নামেন সন্দেশখালির মহিলারা।