Shankaracharyas of four peeths of the country raised questions about Prime Minister’s inauguration of Ram temple in Ayodhya.
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক : কেন প্রধানমন্ত্রী রামলালার ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা‘ করবেন? এমনই প্রশ্ন তুললেন পুরীর শঙ্করাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী। তাঁর সাফ কথা ছিল, মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ না হওয়া সত্ত্বেও উদ্বোধনের এত তাড়া কীসের? ধর্মীয় শাস্ত্রের আচার মেনেই রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ হচ্ছে না কেন? পুরীর শঙ্করাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী আগামী ২২ জানুয়ারি ২০২৪ অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনে যাচ্ছেন না বলে জানিয়েও দিয়েছেন। এবার তাঁর পথেই হাঁটলেন আরও তিন পীঠের শঙ্করাচার্য। যোশিমঠের শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী বৃহস্পতিবার বলেছেন, এখনও মন্দিরের কাজ শেষই হয়নি। তাই ২২ জানুয়ারির অনুষ্ঠানে চার শঙ্করাচার্যের কেউই হাজির থাকবেন না।
![](https://www.thewhitebangla.com/wp-content/uploads/2024/01/2_11_39_09_Ram-Mandir-blue-print_1_H@@IGHT_420_W@@IDTH_600.jpg)
ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই অভিযোগ তুলেছে, লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই তড়িঘড়ি উদ্বোধনে নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ২২ জানুয়ারির অনুষ্ঠানে পুরী, দ্বারকা, যোশিমঠ ও শৃঙ্গেরি- দেশের চার পীঠের শঙ্করাচার্যেরই উপস্থিত না থাকার সিদ্ধান্ত নিশ্চিতভাবেই তাত্পর্যপূর্ণ। অষ্টম শতাব্দীতে এই চার পীঠের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আদি শঙ্করাচার্য। গত ৪ জানুয়ারি পুরীর শঙ্করাচার্য বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্দির উদ্বোধন করবেন। তিনি বিগ্রহ স্পর্শও করবেন। তাহলে আমি সেখানে গিয়ে কী করব? হাততালি দেব? আমার পদেরও মর্যাদা আছে।’ এবার সরব যোশিমঠের শঙ্করাচার্যও। হরিদ্বারে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা কারও বিরুদ্ধে নই। তবে শঙ্করাচার্যদের দায়িত্ব হল হিন্দু ধর্মের নিয়ম অনুসরণ করা হচ্ছে কি না, তা দেখা। কিন্তু ওরা প্রতিষ্ঠিত সেই নিয়মগুলিকে অবহেলা করছে বলে অভিযোগ।
![](https://www.thewhitebangla.com/wp-content/uploads/2024/01/ram-mandir-1.webp)
মন্দিরের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই সেখানে বিগ্রহের প্রতিষ্ঠা সুবুদ্ধির পরিচয় নয়। এটা সনাতন ধর্মের নিয়ম লঙ্ঘনের প্রথম ধাপ। ওরা হয়তো আমাদের মোদি বিরোধী বলবে। আমরা আদৌ মোদি বিরোধী নই। তবে শাস্ত্রীয় বিধানের বিরুদ্ধেও আমরা হাঁটতে পারি না।’ দ্বারকা ও শৃঙ্গেরির শঙ্করাচার্যরা অবশ্য সরাসরি কিছু জানাননি। তবে মঠ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাঁরা ওই দিন অযোধ্যায় যাবেন না।
![](https://www.thewhitebangla.com/wp-content/uploads/2024/01/mcms-2.jpg)
রাম মন্দির ট্রাস্টের প্রধান চম্পত রাইয়ের সাম্প্রতিক একটি মন্তব্য নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তিনি একটি সাক্ষাত্কারে দাবি করেছেন, অযোধ্যার রামমন্দির বাস্তবে হিন্দুদের রামানন্দ সম্প্রদায়ের, শৈব বা শাক্তদের নয়। রাইয়ের এই মন্তব্যেরও কড়া সমালোচনা করেন যোশিমঠের শঙ্করাচার্য। বলেন, এধরনের মন্তব্য সম্পূর্ণ অনৈতিক। হিন্দুদের সব সম্প্রদায়ই মন্দির নির্মাণের জন্য অনুদান দিয়েছেন। রামমন্দির শুধু রামানন্দ সম্প্রদায়ের হলে চম্পত রাই ট্রাস্টের প্রধান পদে রয়েছেন কীভাবে? তিনি নিজেই বৈঞ্চব রামানন্দ সম্প্রদায়ের নন।