BJP’s motion pending in the assembly protesting the increase in commodity prices, later MLAs left the room to protest
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে বিধানসভার গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্য বিজেপি বিধায়কেরা। গলায় সবজির প্ল্যাকার্ড লাগিয়ে ১০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করেন শুভেন্দু অধিকারী।
আলুর প্যাকেট এবং থার্মোকলের থালার উপর লেখা স্লোগান তুলে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। বিধায়কেরা স্লোগান দেন, “এত দাম খাব কী? মমতা যাবে কি?” বিভিন্ন সব্জির দাম নামতার আকারে লিখে প্রতিবাদ জানান পদ্ম বিধায়কেরা। পাল্টা ‘মোদী হটাও দেশ বাঁচাও’ স্লোগান দেন তৃণমূল বিধায়কেরা।
রাজ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এবং সে বিষয়ে আলোচনা চেয়ে শুক্রবার বিধানসভায় মুলতবি প্রস্তাব এনেছিল বিজেপি। আলোচনায় অংশ নিয়েও পরে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়কেরা। বিজেপি বিধায়কদের এই আচরণকে ‘অনভিপ্রেত’ বলে জানিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপর বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ও তৃণমূলের কুণাল ঘোষের মধ্যে বাগযুদ্ধ বেঁধে যায়। অগ্নিমিত্রা পালের অভিযোগ, “চাষিরা দাম পাচ্ছেন না অথচ মানুষ বাজারে সবজি কিনতে পারছেন না। কারণ, মাঝে ফড়েরা দালালি করছে। এই কারণেই ফসলের দাম বৃদ্ধি।” এই বিক্ষোভের জোরাল বিরোধিতা করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন,”মূল্যবৃদ্ধির খবর জানা মাত্রই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোরাধ্যায় ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। এখন বাজারে সবজির দাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবু প্রচারের জন্য বিরোধীরা এসব নাটক করছে।”
অন্য দিকে, মন্ত্রী শোভনদেব দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, “এটা কেন্দ্রের বিষয়। পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ছে। তাতে জিনিসের দাম বাড়ছে। এই সত্যকে আলাদা করব কী ভাবে? তা ছাড়া টাস্ক ফোর্সের মাধ্যমে দাম কমানো হয়েছে।”