Wondering where to go on Puja vacation? Visit Bangriposi.
মুনমুন রায় ,প্রতিনিধি :ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলায় অবস্থিত ছবির মত সুন্দর একটি জায়গা হলো বাংরিপোসি। যাদের মনে গেথে আছে বুদ্ধদেব গুহ’র উপন্যাস ‘বাংরিপোসির দু রাত্তির’, তাঁরা উপন্যাসের সাথে এই জায়গাটির কোন পার্থক্য খুঁজে পাবেন না। কলকাতা থেকে বাই রোড ২২০ কিলোমিটার।
প্রকৃতি যেন তার সব সৌন্দর্য্য দিয়ে জায়গাটিকে সাজিয়েছে। এখানে নদী, পাহাড়, অরণ্য, তার সঙ্গে আদিবাসীদের গ্রাম সব মিলিয়ে মনের ক্লান্তি দূর করতে বাংরিপোসি এক আদর্শ জায়গা।বাংরিপোসিকে ঘিরে আছে বিদ্যাবিহার, পাথরকুসী, অর্ধেশ্বর, বুধবোধী ছাড়াও নাম না জানা অনেক পাহাড়। সন্ধ্যায় দূরে জঙ্গল থেকে ভেসে আসা মাদলের তান আর পাখিদের ঘরে ফেরার গান শুনে মন ভরে যাবে।
শাল, মহুয়া, শিমুল,পলাশের পাশাপাশি এখানে রয়েছে আম, জাম, কাঁঠাল সহ নানান গাছ-গাছালি। পথের দুধারে চোখে পড়বে আদিবাসিদের ঘরবাড়ি। আর ইতিহাসের সাক্ষি বহন করে চলা বুড়িবালাম নদী। বাংরিপোসি থেকে কাছাকাছি যে জায়গাগুলি ঘুরে আসতে পারেন যেমন সুলেইপাত ড্যাম, বাঁকবল ড্যাম, বিসোই হাট, দুয়ারসিনির মন্দির।
বাংরিপোসির কাছেই রয়েছে বহুপ্রাচীন সিমলেশ্বরী শিবমন্দির। সেখান থেকে আবার কয়েক কিলোমিটার পথ হাঁটলে পৌঁছে যাবেন ডোকরা শিল্পের জন্য বিখ্যাত কুলিয়ানা গ্রাম। সেখান থেকে ১৩ কিমি দূরে রয়েছে কানচিন্ডা। শাল, সেগুন, মহুয়া, শিমুল, পলাশ গাছে ঘেরা এই জায়গাটিতে গেলে প্রকৃতিকে আরও কাছ থেকে পাওয়ার সুযোগ পেতে পারেন। আর বুড়িবালামের শাখা নদী কালাবাঁধ– যেখান থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য না দেখলে বাংরিপোসি ঘোরাটা অসম্পূর্ণই রয়ে যায়।
বাংরিপোসি থেকে ঘন্টা তিনেকের রাস্তা সিমলিপাল।
সিমলিপাল হল নির্জন জঙ্গলে ঘেরা লাল মাটির দেশ আর এর সঙ্গেই রয়েছে সুসজ্জিত জলপ্রপাত । চারিদিকে উঁচু নিচু পাহাড় আর ঘনসবুজের অরণ্য।