ব্যুরো রিপোর্ট : রেশন বন্টন দুর্নীতির তদন্তে নেমে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতারের ক্ষেত্রেও খুব একটা ডেট পেতে হয়নি ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকদের।কিন্তু শুক্রবার সকালে সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের খোঁজে গিয়ে যেভাবে মারমুখী জনতার আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে ইডি (ED) তদন্তকারীকদের ।
শাহজাহানের ডেরাই ঢুকতে গিয়ে মার মুখেই জনতার মুখে পড়তে হয়েছে দুধে তদন্তকারী আধিকারিকদের। কি লুকোতে চাইছেন তৃণমূল নেতা? এমনই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সন্দেশখালি ১-ব্লকের তৃণমূল সভাপতি এবং জেলা পরিষদের মত্স্য কর্মাধ্যক্ষের সম্পত্তির খতিয়ানের দিকে নজর দিয়েছেন তদন্তকারীরা।
২০২৩ সালে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে যে হলফনামা জমা পড়েছিল তৃণমূল নেতা শাহজাহানের তাতে দেখা যাচ্ছে ব্যাঙ্কে গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ১ কোটি ৯২ লক্ষ ১২ হাজার টাকা! সোনার গয়না রয়েছে ২ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকার। ১৭টি গাড়ি। আরও জানিয়েছেন, ৪৩ বিঘা জমির মালিক তিনি। যার বাজারদর প্রায় ৪ কোটি টাকা। বাত্সরিক আয় ১৯ লক্ষ ৮৩ হাজার ৮৩২ টাকা। সরবেড়িয়ায় তাঁর পাকা বাড়ির বাজারমূল্য ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।
বামফ্রন্ট জমানার শেষ দিকে স্থানীয় বিধায়ক অনন্ত রায়ের অত্যন্ত আস্থাভাজন হয়ে উঠেছিলেন এই শেখ। তাঁর বিরুদ্ধে কাঠ ও গরু পাচারের অভিযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে মানুষ পাচারের অভিযোগও রয়েছে। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর পরিস্থিতি বদলায়। মাথার উপর থাকা বাম বিধায়কের ছায়া সরে যেতেই বিপাকে পড়েন শাহজাহান। তার পর ২০১৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল প্রার্থী করে শেখ শাহজাহানকে। জেলা পরিষদে জিতে কর্মাধ্যক্ষ হন তিনি।