The governor and the state government are on the verge of conflict again over the oath.
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দবোসের ডাকে রাজভবনে যাচ্ছেন না সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপ নির্বাচনে নবনির্বাচিত দুই বিধায়কের শপথ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত অব্যাহত। এই সংঘাতের মাঝে রাজভবনে সদ্য জয়ী বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠানো হয়েছে। যদিও ভগবানগোলার জয়ী প্রার্থী রেয়াত হোসেন সরকারের দাবি, তিনি আমন্ত্রণপত্র পাননি। আমন্ত্রণপত্র পেলেও রাজভবনে যাচ্ছেন না বলেই জানান তৃণমূলের তারকা বিধায়ক সায়ন্তিকা।
নব নির্বাচিত সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাহনগর বিধানসভা নির্বাচনে সদ্য জয়ী হওয়া ও ভগবানগোলার নির্বাচিত রেয়াত হোসেন সরকারের শপথ নিয়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে রাজ্য ও রাজ্যপালের মধ্যে।
রাজ্য বিধানসভার নিয়ম অনুযায়ী “উপনির্বাচনের ক্ষেত্রে সাধারণত স্পিকার কিংবা ডেপুটি স্পিকারকে শপথের দায়িত্ব দেন রাজ্যপাল। তবে এবার তা করেননি রাজ্যপাল। বিধানসভাকে কার্যত অন্ধকারে রেখে সরাসরি আমাকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ভগবানগোলার বিধায়ককে চিঠি পাঠানো হয়নি। আমি একা কেন যাব? আমি যাব না।” ভগবানগোলার জয়ী প্রার্থী রেয়াত হোসেন সরকারের দাবি, তিনি এখনও পর্যন্ত আমন্ত্রণ পত্র পাননি। তিনি বলেন, “বিধানসভার বিষয়ে স্পিকার যা বলবেন। তা-ই করব।”
উল্লেখ্য, এর আগে সায়ন্তিকা ও রেয়াত হোসেনের শপথ নিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তার কোনও উত্তর আসেনি। গত শনিবার রাজ্যপালের তরফে আলাদা চিঠি পাঠানো হয়েছে দুই ভাবী বিধায়ককে। বরানগরের সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি পেয়েই যোগাযোগ করেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। কেন হঠাৎ আলাদা করে বিধায়কদের চিঠি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়া চিঠির বয়ানেও আপত্তি তুলেছে পরিষদীয় দল।
পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়ের বক্তব্য, “চিঠিতে লেখা রয়েছে, রাজ্যপাল নন, রাজভবন মনোনীত কেউ নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথ পড়াবেন। এটাকে আমরা অসম্মানজনক বলে মনে করছি। এটা রীতি নয়। আর তাছাড়া শপথ নিয়ে স্পিকারের চিঠির কোনও উত্তর না দিয়ে রাজ্যপাল নিজে বিধায়কদের চিঠি লিখলেন কেন, সেই প্রশ্নও থাকছে।” দলীয় স্তরে সিদ্ধান্তের পরই ২৬ তারিখ রাজভবনে যাবেন কিনা সায়ন্তিকা, তা ঠিক করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।