The Supreme Court said, demolishing the house of criminals with bulldozers is against the constitution.
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের দাগী অপরাধীদের বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিয়ে এক সময়ে খুব হাততালি কুড়িয়েছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। উগ্র ডানপন্থীদের অনেকেই সাবাশ সাবাশ করে উঠেছিলেন। বাংলাতেও সেই স্বর অনুরণিত হয়েছিল।
কিন্তু বুধবার মাইলফলক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, এভাবে বুলডোজার দিয়ে অপরাধীর বাড়ি ভেঙে দেওয়া নৈরাজ্যকে মনে করায়। এটা সংবিধান বিরোধী। এটা কখনওই করা যায় না।
বিচারপতি গাওয়াই ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ এদিন রায় ঘোষণা করতে গিয়ে বলে, কেউ কোনও অপরাধ করেছে বলে, যদি কোনও প্রশাসক খেয়ালখুশি মতো তার বাড়ি ভেঙে দেয়, তাহলে বুঝতে হবে তিনি আইনবিরোধী কাজ করছেন। একজন প্রশাসক নিজেই বিচারক হয়ে উঠতে পারেন না। সংবিধান সেই অনুমতি তাঁকে দেয়নি।
এখানেই না থেমে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, কোনও প্রশাসক এভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নিলে তাঁকে সেই কাজে দায়বদ্ধ করতে হবে। এই স্বেচ্ছাচারিতার কোনও স্থান নেই।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা এদিন জানিয়েছেন, কারও বাড়ি বা সম্পত্তি বুলডোজার দিয়ে ভাঙতে হলে তাঁকে পরিষ্কার পনেরো দিনের নোটিস দিতে হবে। কেন বাড়ি ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা সেই নোটিসে স্পষ্ট করে উল্লেখ করতে হবে। নাগরিক অধিকারকে কোনওভাবেই লঙ্ঘন করা যাবে না।
সুপ্রীম কোর্টের গাইডলাইন :- শুধুমাত্র বেআইনি নির্মাণগুলিকে ভেঙে ফেলা যাবে।আগাম বিজ্ঞপ্তি ছাড়া কোনও নির্মাণ ভাঙা যাবে না। নোটিসটি স্পষ্টভাবে নির্মাণের কাছেই প্রদর্শিত করতে হবে।১৫ দিন আগে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে ভাঙার কারণ ও শুনানির তারিখ উল্লেখিত থাকতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে কেন এমন চরম পদক্ষেপ করতে হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তি জারির সঙ্গে সঙ্গে জেলাশাসককেও তা মেলের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে হবে। বিস্তারিত ‘স্পট রিপোর্ট’ অবশ্যই তৈরি করতে হবে। এবং নির্মাণটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও রেকর্ডিং রাখতে হবে। ঘটনাস্থলে সরকারি আধিকারিক ও পুলিশকে উপস্থিত থাকতে হবে।এই নির্দেশ অমান্য করলে তা অবমাননা বা অন্যান্য আইনি পদক্ষেপের জন্য বিচার্য হবে।এই নির্দেশিকা লঙ্ঘন করা হলে দায় বর্তাবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপরে।
সর্বোচ্চ আদালতের এই নির্দেশ উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশ সরকারের জন্য বড় ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে।রাজনৈতিক মহলের অভিযোগ ছিল, এই বুলডোজার সংস্কৃতি আসলে বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতির অস্ত্র। বেছে বেছে সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিয়ে সংখ্যাগুরু অংশের হাততালি কুড়োতে চেয়েছিলেন যোগী ও শিবরাজ। সুপ্রিম কোর্ট তাতে জবরদস্ত ধাক্কা দিল বুধবার।