After Chopra, Sonarpur, unspeakable torture on woman by calling arbitration meeting, court at home
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: চোপড়ার পর এবার সোনারপুর। সালিশি সভায় মহিলার পায়ে শিকল বেঁধে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠল। অভিযুক্ত জামালউদ্দিন সর্দার পরিচিত তৃণমূল কর্মী বলে অভিযোগ। বাড়িতে বসত আদালত।
ওই মহিলা অভিযোগ করেন, পারিবারিক বিবাদ মেটানোর জন্য জামালের বাড়িতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে ও তাঁর স্বামীকে। কিন্তু তাঁর কথা শোনার আগেই শিকল দিয়ে বেঁধে ফেলা হয় তাঁর পা। এরপর শুরু হয় মারধর। তিনি বলেন, “জামালের বাড়িতে ঢুকতেই আমার পা শিকল দিয়ে বেঁধে দেয়। লাঠি-বাঁশ দিয়ে শুরু হয় মারধর। ওই অবস্থাতেই প্রশ্ন করতে থাকে আমাকে। আমার স্বামী আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। তখন তাঁকেও মারধর করা হয়। আমাকে পরের পর চড় মারে ওরা। ঘুঁষি মারে।”
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই প্রথম নয়, জামালউদ্দিন এর আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। এলাকার অনেকের জমি জোর করে দখল করে নিয়েছে সে। প্রতিবাদ করলেই অমানুষিক নির্যাতনের মুখে পড়তে হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ধীরে ধীরে সামনে আসছে জামালের একের পর এক কুকীর্তি। তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন স্থানীয় মহিলারা।
এলাকায় চলত তারই নিয়ম। পুলিশি চালাত জামাল। বাড়িতেই বসত ‘বিচারসভা’। বিলাসবহুল বাড়ির মধ্যে রয়েছে জলাশয়। পাশে একটা জলাভূমিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে কচ্ছপ। গেট পেরিয়ে ঢুকতেই মার্বেল বসানো ঝাঁ-চকচকে রাস্তা। সেই রাস্তা ধরে এগোলে চোখে পড়বে নীল-সাদা রঙের বাড়ি। ধার ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আরেক অট্টালিকা। আর গেট পেরিয়ে ঢোকা থেকে বাড়ি অবধি গোটা রাস্তা সিসি ক্যামেরা বন্দি।
তবে জামালকে তৃণমূল কর্মী হিসেবে মানতে চাননি স্থানীয় বিধায়ক লাভলি মৈত্র। তাঁর কথায়, “আইন আইনের পথে চলবে। অভিযুক্ত জামালকে গ্রেপ্তার করা হবে। তবে তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।”