Ritwik Ghatak’s ancestral house was demolished in Bangladesh, there is no answer as to who broke it
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের মাটিতে মুছে গেল ঋত্বিক ঘটকের স্মৃতিটুকুও! বিখ্যাত সিনে পরিচালকের পৈতৃক বাড়িটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বাংলাদেশের রাজশাহীতে মিয়াপাড়ায় ছিল সেই বাড়ি। কিন্তু এখন সেখানে শুধুই ইটের স্তূপ পড়ে রয়েছে। কীভাবে এই বাড়ি ভাঙল তা এখনও স্পষ্ট নয়।
তবে একটা অংশের দাবি বেশ কিছু দুষ্কৃতী ঋত্বিক ঘটকের স্মৃতি বিজড়িত সেই বাড়ি ভেঙে দিয়েছে। আর এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাংলাদেশের সিনেপ্রেমী এবং চলচ্চিত্রকর্মীরা সেখানে ভিড় জমান। ঘটনার খবর পেয়েই সেখানে পৌছন বাংলাদেশ পুলিশের বিশাল টিম।
পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কে এবং কারা এই বাড়ি ভাঙল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এই বাড়ির পাশেই একটি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ রয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সেখানে লাগানো সমস্ত সিসিটিভি বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
ফলে কলেজের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও কলেজের আধিকারিকদের দাবি, তাঁরা কোনও সিসিটিভি বন্ধ করেননি। স্থানীয় মানুষজনের দাবি, ঐতিহাসিক এই বাড়ির ভাঙ্গার পিছনে কলেজ কর্তৃপক্ষ জড়িত রয়েছে। তাদের নির্দেশেই এই কাজ হয়েছে। যদিও কলেজের অধ্যক্ষ বাংলাদেশের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁদের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। যদিও সবদিক থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
বলে রাখা প্রয়োজন, ঋত্বিক ঘটক জীবনের শুরুর সময়টা বাংলাদেশের রাজশাহীর এই পৈতৃক বাড়িতেই কাটিয়েছিলেন। এই বাড়িতে থাকাকালীনই রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল এবং রাজশাহী কলেজে পড়াশোনা করেছেন। শুধু তাই নয়, কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্থানীয় রাজশাহী কলেজ এবং মিঞাপাড়ার সাধারণ গ্রন্থাগার মাঠে নাত্য চর্চাও করেছেন ঋত্বিক ঘটক।