A novel protest by turning off the light in the R G Kar case
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডের পর তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় পার। সিবিআই তদন্তভার নিলেও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করতে পারেনি। কবে মিলবে সুবিচার, এই দাবিতে পথে নেমে আন্দোলনে শামিল প্রায় গোটা শহরবাসী। বুধবার রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা আলো নিভিয়ে অভিনব প্রতিবাদের ডাক দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেই মতো হাসপাতালে ধর্নামঞ্চের সামনে আলো নেভানো হল, জ্বালানো হয়েছে মোমবাতি এবং প্রদীপ। আত্মবিশ্বাস উপচে পড়ল চিকিৎসকদের কণ্ঠে, ”আমরা স্থেটোস্কোপের চাপে লালবাজারের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেছি। সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে আছি। দ্রুত যেন শুনানি শুরু হয়।”
এই প্রতিবাদে সামিল আরজি কর হাসপাতালে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন নির্যাতিতার বাবা, মা এবং পরিবারের সদস্যেরা। আরজি করে নির্যাতিতার স্মরণে নীরবতা পালন করা হল। দু’মিনিট নীরবতা পালন করেন চিকিৎসকেরা। এর পর ‘আগুনের পরশমণি’ গান ধরেন প্রতিবাদীরা।
এই প্রতিবাদে রাজভবনের আলো নেভালেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। আলো নিভল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালেরও।
আরজি কর এবং শ্যামবাজার চত্বরে কর্মসূচিকে ঘিরে পুলিশও প্রস্তুত। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।শ্যামবাজার থেকে মোমবাতি মিছিল করে গিয়ে আরজ কর হাসপাতালের সামনেও প্রতিবাদ দেখানো হয়। মিছিলে অধিকাংশই ছিলেন মহিলা।
অন্যদিকে, উত্তর কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণের গড়িয়াহাট, যাদবপুরও প্রতিবাদীদের মিছিলে সরবরাহ হয়ে ওঠে। গড়িয়াহাট মোড়ে মোমবাতি নিয়ে জমায়েত করে প্রতিবাদের সামিল হয় সাধারণ মানুষ। যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয় বাস স্ট্যান্ড চত্বরেও প্রতিবাদ প্রদর্শন করে স্থানীয়রা।
এছাড়া বিশ্ববাংলা গেটের কাছে মিছিল করেন নিউটাউনের বাসিন্দারা। পথে নেমে বিক্ষোভে শামিল হন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরাও। ডোরিনা ক্রসিংয়ে বিজেপির ধরনা মঞ্চেও মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদে শামিল হন বিজেপি নেতা-কর্মীরা।
গত ১৪ অগস্ট স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে অভিনব আন্দোলন দেখেছিল গোটা রাজ্য। রাজনৈতিক ছত্রছায়ার বাইরে বেরিয়ে পথে নেমেছিল সাধারন মানুষ। আলো নেভানো হয় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের মতো ঐতিহাসিক স্থাপত্যেরও। এছাড়াও বুধবার শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আলো নিভিয়ে প্রতিবাদ জানানোর জানানোর এক অভিনব দৃশ্যের সাক্ষী থাকল ‘তিলোত্তমা’