BJP has called for ‘Swastho bhavan Avijan’ on Thursday.
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর ঘটনায় দেশ জুড়ে উত্তাল, কর্মসূচি দফায় দফায় জনগণের। বাম ডান সবাই মিলে আন্দোলনে সামিল হলেও কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বরা ক্ষুব্ধ। কারণ রাজ্য বিজেপি নেতারা কোনো প্রভাব ফেলতে পারিনি। মঙ্গলবার বৈঠক হয়, কেন্দ্র ও রাজ্য বিজেপির মধ্যে। তাই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য বিজেপি।
বুধবার থেকে পাঁচ দিনের ধর্না নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা হয়েছে বিজেপির। সব নেতাদের উপস্থিতিও নিশ্চিত করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবারের স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের ডাক ‘সফল’ করতে খুঁটিনাটি পরিকল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। শ্যামবাজারে পাঁচ দিনের ধর্না পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় দলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক দীপাঞ্জন গুহকে।
স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের দায়িত্ব পান পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো। আদালতের নির্দেশ মেনেই কর্মসূচি চালানো হবে। ধর্নামঞ্চের সামনে তিনশোর বেশি কর্মী না-থাকা নিশ্চিত করতে হবে। রাজ্য বিজেপি তালিকা তৈরি করে ঠিক করেছে একটি করে জেলা থেকে তিনশো কর্মী আনতে হবে। তাঁরা তিন ঘণ্টা করে থাকবেন। বুধবার থাকছে কলকাতা দক্ষিণ, উলুবেড়িয়া এবং আরামবাগ জেলা। প্রতি দিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্তা দফায় দফায় বিভিন্ন জেলার কর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।স্বাস্থ্যভবন অভিযানের সময়ে ধর্নামঞ্চ সামলাবেন প্রবীণ নেতারা। তিনটি জায়গা থেকে মিছিল নিয়ে যাওয়া হবে স্বাস্থ্য ভবনের দিকে। সেগুলি হল উল্টোডাঙা, সল্টলেকের করুণাময়ী এবং সিটি সেন্টার দুই।
তবে পুলিশ শুধু একটি মিছিলের অনুমতি দিলে সেটি উল্টোডাঙা থেকে করতে চায় রাজ্য বিজেপির একাংশ। যদিও জ্যোতির্ময় বলেন, ‘‘পুলিশের জন্যই তো এত কিছু। রাজ্যে এত অরাজকতা। সেই পুলিশের কথায় সব হবে নাকি! আমরা তিনটে মিছিলই নিয়ে যাবে স্বাস্থ্য ভবনে। দেখি না, আমাদের আটকাতে কত পুলিশ আছে!’’বিচার চাই’ স্লোগানের সঙ্গে ‘মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই’ স্লোগানের মিশেল ঘটানো যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারের বৈঠকে হাজির না থাকলেও ধর্নামঞ্চে আসাব কথা রয়েছে শুভেন্দুর। আসবেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। বৃহস্পতিবার তিনটি মিছিলের অনুমতি পাওয়া গেলে তিন মুখ হবেন সুকান্ত, শুভেন্দু এবং দিলীপ।