The Supreme Court on Tuesday issued a set of guidelines to the state government in the RG tax case.
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল। জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে যে আবেদনগুলি করা হয়, তার মধ্যে একটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে শীর্ষ আদালত। আদালত বলে, রাজ্য যদি এখনও পদক্ষেপ না করে থাকে, তাই আমরা এই ব্যাপারে পদক্ষেপের নির্দেশ দিচ্ছি। প্রথমত, প্রতি হাসপাতালে প্রশাসনিক, নার্স ও ডাক্তার, কর্মীদের নিয়ে একটি করে তদারকি কমিটি গঠন। দ্বিতীয়ত, একটি গোপন অভিযোগ সংক্রান্ত কমিটি গঠন। তৃতীয়ত, যৌন হেনস্তা সংক্রান্ত একটি অভ্যন্তরীণ অভিযোগ মীমাংসা কমিটি এবং শেষোত ডাক্তারদের কাজের চাপ মুক্তির জন্য একটি কাউন্সেলিং সেন্টার গঠন করতে হবে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আর জি কর হাসপাতালের যে জায়গায় মহিলারা রাতের ডিউটিতে বিশ্রাম নেন সেখানে কেন বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা নেই? তিনি আরও বলেন, যে মহিলারা সেমিনার হলে বিশ্রাম নিতে যান, তাঁদের অতি অবশ্যই বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। এখানে যখন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব উপস্থিত আছেন, আমাদের বলুন নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? আর জি করের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তই হচ্ছেন একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। সেখানে আবার নতুন করে চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তা কর্মী নেওয়ার ফলে কী পরিবর্তন ঘটবে। পুলিশ কোথায়?
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, স্বাস্থ্যসচিবের দেওয়া হলফনামায় বলা হয়েছে, ডিউটি রুম সংস্কার করা হয়েছে, শৌচাগার, সিসিটিভি ক্যামেরা বসেছে। তথ্য বলছে, রাজ্যে ২৮টি সরকারি হাসপাতাল রয়েছে, ৯টি রয়েছে কলকাতা শহরে।এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশ, ৭ থেকে ১৪ কর্মদিবসের মধ্যে নিরাপত্তা সহ অন্যান্য সুযোগসুবিধার কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। ৭১৭টি সিসিটিভি ছাড়াও অতিরিক্ত ক্যামেরা বসাতে হবে। রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিবালকে শীর্ষ আদালত বলে, জেলাশাসক, সব হাসপাতালের অধ্যক্ষ এবং সিনিয়র ডাক্তারদের পরামর্শ মেনে দু সপ্তাহের মধ্যে সিসিটিভি বসাতে হবে।