Mixed effect of bandh in Kolkata, TMC gives Go Back slogan to Roopa Ganguly, Police arrest Shamik-Loket
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর ইস্যুতে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজে’র ডাকে মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানের পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ। তার প্রতিবাদে আজ, বুধবার বিজেপি রাজ্যে ১২ ঘন্টা ধর্মঘট পালন করছে। সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এর প্রভাব পড়েছে। ট্রেন, বাস চলছে না অনেক জায়গায়। কাজে বেরিয়ে বিপাকে নিত্যযাত্রীরা। তবে কলকাতা সচল রাখার চেষ্টা। বিক্ষিপ্ত ছোটো ঘটনা ছাড়া, বড়ো কোনো ঘটনা ঘটেনি।
শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়, ধর্মতলা চত্বর-সহ কলকাতা ও শহরতলির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে মোতায়েন রয়েছেন পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী। কলকাতার রাস্তায় বন্ধের বিশেষ প্রভাব দেখা যায়নি। সল্টলেক করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ড থেকেও স্বাভাবিক রয়েছে পরিষেবা। সকাল থেকেই চলছে বাস, তবে যাত্রী সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম।
এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের অবরোধ শুরু করেছেন বিজেপির কর্মী ও সমর্থকরা। এর আগে শ্যামবাজার মেট্রোর শাটার নামানোর চেষ্টা করেছিলেন বিজেপি কর্মীরা। তবে পুলিশকর্মীরা আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন সেখানে। বিজেপি কর্মীরা শাটার নামানোর চেষ্টা করতেই বাধা দেয় পুলিশ। শ্যামবাজার থেকে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ পদ্মশিবিরের।
শ্যামবাজারে বন্ধের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাহুল সিনহারা। তাঁদের নেতৃত্বে পথ অবরোধ শুরু করেছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ তাঁদের গাড়ি তুলে অন্যত্র নিয়ে যান।
বিজেপি কর্মী সমর্থকরা সকাল থেকে আসরে নেমে পড়েছেন বন্ধের সমর্থনে। কয়েক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষিপ্ত বচসা, ধস্তাধস্তির ছবি ধরা পড়েছে। টালা সেতুর উপর আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।
সল্টলেকের উইপ্রো মোড়ে অবরোধের চেষ্টা শুরু করেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। সকাল থেকেই করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে পরিষেবা সচলই রয়েছে। বেলা গড়াতেই উইপ্রো মোড়ের কাছে কয়েকজন বন্ধ সমর্থনকারী পথ অবরোধের চেষ্টা করেন। পুলিশ তাঁদের হটিয়ে দিয়ে বাস এগনোর ব্যবস্থা করে দেয়।
বেলা গড়াতেই বন্ধের সমর্থনে রাস্তায় নামেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। কোলে মার্কেট এলাকায় গিয়ে তিনি ব্যবসায়ীদের কাছে আর্জি জানান বন্ধে সমর্থন করার জন্য। অভিযোগ, সেই সময় কাউকে কাউকে দোকান বন্ধ করতে জোর করা হয়েছে। যদিও বিজেপির দাবি, শান্তিপূর্ণ ভাবেই বন্ধে সমর্থনের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল। তৃণমূলের সমর্থক একাংশের সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়ে পড়েন সজলের নেতৃত্বে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ বোধ করেন সজল। পুলিশ তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যায়।
বন্ধের সমর্থনে বড়বাজারে বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় ওঝার নেতৃত্বে মিছিল পদ্মের কর্মী-সমর্থকদের। মিছিলে রয়েছেন তমোঘ্ন ঘোষও। অভিযোগ উঠছে, সেই এলাকায় জোর করে দোকানপাট বন্ধ করানোর চেষ্টা চলেছে।
গড়িয়াহাটে বন্ধের সমর্থনে রাস্তায় নামলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। হাতেগোনা কয়েক জন দলীয় কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় দেখা মিলল তাঁর। গড়িয়াহাট চত্বরে বুধবার সকাল থেকেই বাস ও অন্যান্য গাড়ির দেখা মিলেছে। বাসচালক ও যাত্রীদের কাছে রূপা হাত জোড় করে অনুরোধ করেন বন্ধকে সমর্থন করার জন্য। সেই সময়েই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান দিতে শুরু করেন।
বন্ধের সমর্থনে সল্টলেকে বিজেপির একটি কর্মসূচি শুরু করতেই পদক্ষেপ করল পুলিশ।সল্টলেক সেক্টর ফাইভ সংলগ্ন এলাকায় থেকে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। ধরপাকড় করা হয়েছে আরও অন্যান্য কর্মী-সমর্থকদেরও।