The government has not done any work to prevent erosion in Malda. Trinamool will not get mangoes and mangoes in 2026: Khagen Murmu
রাজ্য
মাধব কুমার মন্ডল ,প্রতিনিধি মালদহের দুইটি লোকসভা কেন্দ্রে ভরা ডুবি হয়েছে তৃণমুল কংগ্রেসের। স্বাভাবিক ভাবেই ২০২৪ সালে লোকসভার হারের কথা ভুলে গিয়ে ১২টি বিধানসভার ১২টি জয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা মমতা বন্দোপাধ্যায়।
২১জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মালদহের আম ও আমস্বত্বের দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন,রাজ্যে কাজ নেই,গঙ্গা ভাঙন নিয়ে কাজ করেন না ।তাই তিনি মালদহের আম আমস্বত্ব পাবে না। পাল্টা মালদহ দক্ষিনের কংগ্রেস সাংসদ ইষা খান চৌধুরী বলেন যেখানে আমাদের সঙ্গে জোট রয়েছে সেখানে তৃণমুলের জেলা সভাপতি বলছে ঈষা খান কোন কাজ করতে পারবে না।
২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সাফ বক্তব্য মালদার দুই লোকসভায় আমাদের ফল খারাপ হয়েছে। কেন একটি আসন বিজেপি অন্য আসন কংগ্রেস পাবে। যেখানে তারা সারা বছর কোন কাজ করে না।তবে ২৬ সালের বিধানসভার নির্বাচনে আম আমস্বত্ব সব চাই। মানুষের কাছে যেতে হবে বোঝাতে হবে। যেখানে ভুল হয়েছে সেখানে মানুষের কাছে গিয়ে বোঝাতে হবে।
এই বিষয়ে মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন,আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। উত্তরবঙ্গ থেকে মানুষ তাদেরকে শূন্য হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে। উত্তরবঙ্গের মানুষ জানে উত্তরবঙ্গের মানুষ সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত করেছে। উত্তরবঙ্গের যত সব পরিযায়ী শ্রমিক দেখেন উত্তরবঙ্গ থেকে সবচেয়ে বেশি অন্ধ্রপ্রদেশে কাজ করতে যাচ্ছেন।কোন বেকারের কাজ নেই।জেলায় কাজ নেই।ওখানে নদী এত ভাঙ্গন হচ্ছে।মালদার গঙ্গা,ফুলহার নদী ভাঙ্গনে জমি ঘরবাড়ি তলিয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠান হারা হচ্ছে মানুষ।মানুষ ভাঙ্গনে নদীতে ভাসছে। তাদের জন্য ভাঙ্গন রোধর কাজের কোন ব্যবস্থা করছে না রাজ্য সরকার। আমাদের কাছ থেকেও কোন সাহায্যের আরজি পাঠান নি।মালদহের মানুষের সমালোচনা করেছেন ওরা। মালদহের মানুষের জন্য কোন কাজটি করেছেন উনি। মালদহের মানুষের বেকারের সমস্যার সমাধান করেছেন উনি।শ্রমিক বাইরে যায় কেন?
মালদহের নদী ভাঙ্গনের জন্য তিনি কোন কাজ করেছেন। কেন নদী ভাঙ্গনে এত মানুষ বানভাসি হচ্ছে। বাড়ি ঘর চলে যাচ্ছি জমি চলে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠান চলে যাচ্ছে তাদের জন্য কি করেছে। মালদহের মানুষ আম আর আম স্বত্ব তাদেরকে দেবে। মালদাহের আমও পাবেন না আমসত্ত্বও পাবেন না। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জানে মমতা ব্যানার্জি থাকা মানে পশ্চিমবঙ্গে বেকারের সংখ্যা বারবে।মমতা ব্যানার্জি থাকা মানে এখানে কোন শিল্প আসবে না। মমতা ব্যানার্জি থাকা মানে এখানে জঙ্গলের রাজত্ব কায়েম হবে।
মালদা দক্ষিণের কংগ্রেস সাংসদ ইশা খান চৌধুরী বলেন,মানুষ তৃণমূলকে বিশ্বাস করতে পারছে না।কারণ তারা সবকিছুতেই মানুষের কোন কাজ করে না।কোন অভিযোগ করলে সেই অভিযোগ নিতে চায় না। কারণ প্রশাসন জানে এর সঙ্গে তৃণমূলের কেউ না কেউ জড়িত রয়েছে। যার ফলে গরিব মানুষের কাছে একটা খারাপ প্রভাব পড়ে। আমি যখন সুজাপুরের বিধায়ক ছিলাম তখন অনেক কাজ আনার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এখানকার জেলাশাসক ও কালিয়াচকের বিডিও উন্নয়নমূলক কাজ হতে দেয়নি। যেখানে আমাদের সঙ্গে এলায়েন্স রয়েছে সেখানে এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বলছে আমরা কোন কাজ করতে পারবো না এটা কখনো সম্ভব নয়।সেই কারণেই মানুষ তৃণমূলকে চাইনি।