Bangladesh is not in the list of all the countries participating in Kolkata Book Fair in 2025.
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা বইমেলার এবারের থিম জার্মানি। সদ্য বইমেলার লোগো উদ্বোধন হয়েছে। ২০২৫ সালের বইমেলা শুরু হচ্ছে ২৮ জানুয়ারি থেকে।
চলতি বছরের অগস্ট মাসে জন-ছাত্র অভ্যুত্থানের জেরে মসনদ ছাড়তে বাধ্য হন বাংলাদেশের শেখ হাসিনা। সেদেশর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে চলে আসেন ভারতে। হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে এসেছে নতুন মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অভ্যন্তরীণ সরকার। এদিকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের সময়কালে ২৮ বছরে প্রথমবার কলকাতা বইমেলায় নেই বাংলাদেশ! ২০২৫ সালে কলকাতা বইমেলায় যে সমস্ত দেশ অংশ নিচ্ছে, তাদের লিস্টে নাম নেই বাংলাদেশের।
কলকাতা বইমেলার এবারের থিম জার্মানি। সদ্য বইমেলার লোগো উদ্বোধন হয়েছে। ২০২৫ সালের বইমেলা শুরু হচ্ছে ২৮ জানুয়ারি থেকে। শেষ হবে ৯ ফেব্রুয়ারি। শহর জুড়ে যখন বই, সাহিত্য ঘিরে তুঙ্গে থাকবে বইমেলা নিয়ে পার্বন, তখন বঙালির শহর কলকাতার বইমেলায় কি সত্যিই দেখা মিলবে না বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ানের? এবিষয়ে পাবলিশার্স অ্য়ান্ড গিল্ডের সভাপতি বলেন,’ উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এবিষয়ে আমরা সরকারের মুখাপেক্ষী। তারা যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই মেনে পদক্ষেপ করা হবে।’
প্রসঙ্গত, সূত্র বলছে, গত বছরেও কলকাতা বইমেলায় বিপুল জনপ্রিয়তা ছিল বাংলাদেশের স্টলের। হয়েছে উপার্জনও। তবে চলতি বছরে বাংলাদেশের উপস্থিতি নিয়ে সংশয় রয়েছে। দেখা গিয়েছে, প্রতিবার বাংলাদেশের পাবলিশার্সরা কলকাতা বইমেলায় প্যাভিলিয়ন করার জন্য আবেদন করে থাকেন। তার পর কেন্দ্রীয় অনুমতি সাপেক্ষে সেই ছাড়পত্র দেয় বইমেলা কর্তৃপক্ষ। তবে শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব় পরিবর্তন এসেছে। সেই প্রেক্ষাপটে কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।
চলতি বছরে ৪৮ তম বইমেলায় আমেরিকা, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, পেরু, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়ার উপস্থিতি থাকবে। থাকবে জার্মানি। এই জার্মানিই এবারের বইমেলার থিম দেশ। এবারেও সল্টলেকেই বসবে মেলার আসর। উদ্বোধন করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের অন্যান্য রাজ্য দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ,হরিয়ানা, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু, গুজরাট ,মহারাষ্ট্র বিহারের, অসম ,তেলেঙ্গানা, কেরলের উপস্থিতিও থাকবে। জানা গিয়েছে, এবারের বইমেলায় স্টলের সংখ্যা বাড়ছে না। বহু প্রকাশনের আবেদন আসলেও, স্টল সংখ্যা বাড়াতে রাজি নয় গিল্ড। ১৩০০ স্টলের আবেদনের মধ্যে ১০৫০ টি আবেদনে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।