Do you have kidney problems? How to keep yourself away from this problem? Read on to find out.
মুনমুন রায়,প্রতিনিধি :কিডনিতে সমস্যা তৈরি হলে তা ধরা পড়ে অনেক দেরিতে। কিডনি সংক্রান্ত সমস্যার উপসর্গগুলি এতই মৃদু হয় যে, কিছু ক্ষেত্রে বুঝে ওঠাও সম্ভব হয় না। অনেক ক্ষেত্রেই এমন হয় যে, একটি কিডনি বিকল হয়ে গেলেও কাজ চলতে থাকে অন্যটি দিয়ে। ফলে ক্ষতির আঁচ বাইরে থেকে পাওয়া যায় না। শুধু পাথর জমা নয়, কিডনিতে আরও অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। সময়ে যদি রোগ ধরা যায়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হয়। কিডনি যে সুস্থ নেই, তার কিছু ইঙ্গিত পাওয়া যায়। সেই লক্ষণগুলি কী, তা জানা থাকলে সতর্ক হওয়া সম্ভব।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত মানুষদের ঘুম না আসার সমস্যা সুস্থ মানুষদের তুলনায় অনেক বেশি।
ঘন ঘন প্রস্রাবের লক্ষণ , কিডনির অসুস্থতার নেপথ্য কারণ হতে পারে এ ছাড়া, মূত্রের সঙ্গে রক্তপাত হওয়া।
পা ফুলে যাওয়া কিডনির সমস্যার আর একটি লক্ষন।শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হলে পা ফুলে যায়। হঠাৎ এমনটা হলে সতর্ক হতে হবে।
কিডনি অকেজো হয়ে গেলে হতে পারে ত্বকের সমস্যা।শরীর থেকে টক্সিন বেরোতে পারে না। ফলে শুষ্ক খসখসে ত্বক, ত্বকে ঘায়ের মতো সমস্যা হয়। জ্বর, ঠান্ডা লাগেনি অথচ কোনও কারণ ছাড়াই জ্বর আসছে বার বার। সাবধান, কিডনির সমস্যার কারণেও কিন্তু হতে পারে এমন। কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে পেশী ক্র্যাম্প সাধারণ। শরীরে তরল এবং ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতার কারণে প্রায়শই ক্র্যাম্প হয়। দুর্বল ক্ষুধা, এবং ওজন হ্রাসও কিডনি রোগের লক্ষণ হতে পারে।
কিডনির সমস্যায় করণীয় বিষয় গুলি,যেমন অতিরিক্ত লবণ ও চিনি এড়িয়ে চলুন ,স্বাস্থ্যকর ও ভারসাম্যপূর্ণ খাওয়ার খান। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। বেশি জল পান করবেন না কারণ এটি কিডনির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
অ্যালকোহল এবং ধূমপানকে না বলুন। ধূমপান রক্তনালীগুলিকে ধ্বংস করতে পারে, যা কিডনিতে রক্তের প্রবাহকে হ্রাস করতে পারে। আপনার ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনোরকম ওষুধ খাবেন না কারণ এটি আপনার কিডনির উপর প্রভাব ফেলতে পারে।