Within 48 hours, the police solved the mystery of Jorabagan murder, the killer is a minor!
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জোড়াবাগানে খুনের কিনারা করে ফেলল কলকাতা পুলিশ । এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জোড়াবাগান থানার পুলিশ নদিয়া থেকে এক নাবালককে গ্রেফতার করেছে । কলকাতা পুলিশের ডিসি দীপক সরকার এমনটাই জানিয়েছেন । লুট হওয়া গয়না ও নিহত প্রৌঢ়ের মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ । তদন্তে উঠে এসেছে যে ধৃতের মায়ের সঙ্গে নিহত প্রৌঢ়ের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল ৷
কালীপুজোর দিন জোড়াবাগানে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল এলআইসি এজেন্ট অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেহ । প্রৌঢ়়েকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা । দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হলে পুলিশ এক প্রকার নিশ্চিত হয় যে এটি খুনের ঘটনা । এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে স্থানীয় জোড়াবাগান থানার পুলিশ ৷
কিন্তু ঘটনার পর থেকে রহস্যজনকভাবে অভিজিতের ব্যবহার করা একটি মোবাইল ফোন নিখোঁজ ছিল । টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ জানতে পারে, নদিয়ায় কেউ ব্যবহার করছে ফোনটি । ফোনের লোকেশন ধরে নদিয়া থেকে নাবালককে আটক করে কলকাতায় নিয়ে আসে পুলিশ।
লালবাজার থেকে জানা যাচ্ছে, ‘পায়রাবাবু’ ওরফে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এলআইসি-র কাজের সূত্রে আলাপ হয় নদিয়ার চাপড়ার বাসিন্দা এক মহিলার। ধীরে ধীরে তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এজেন্ট। মাঝেমধ্যে ওই মহিলা জোড়াবাগানে তাঁর বাড়িতে আসতেন। কখনও অভিজিৎবাবুও চাপড়ায় মহিলার বাড়িতে যেতেন। এই যাতায়াত নজরে পড়ে মহিলার নাবালক পুত্রের। মায়ের হাবভাব নিয়ে সে আপত্তি জানায়। কিন্তু মা ছেলেকে গুরুত্ব দেননি। অভিজিৎবাবুর সঙ্গে ‘পরকীয়া’ চালিয়ে যান।
পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে নাবালক জানায় যে তার মায়ের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল নিহত এলআইসি এজেন্টের । অভিজিতের ফোনে ওই নাবালক এবং তার মায়ের বেশ কিছু ছবিও ছিল । বেশ কিছুদিন আগে কলকাতায় ওই নাবালক এসে অভিজিতের থেকে বেশ মোটা অংকের টাকা দাবি করে । তবে সেই টাকা না-মেটানোয় অভিজিতের মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে বারবার আঘাত করে তাঁকে হত্যা করে ৷ এরপর এলআইসি এজেন্টের ফোনটি নিয়ে সে নদিয়ায় তার বাড়িতে চলে যায় ।দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় নাবালককে। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়৷ নাবালককে জুভিনিয়াল জাস্টিসে পাঠাবে পুলিশ ৷