Internet and Wi _Fi was pioneered by an Indian scientist. Know who he was
মুনমুন রায়
একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে আমরা যে 5G ইন্টারনেট ব্যাবহার করছি আর এই ইন্টারনেটের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ Wi -Fiতার পথপ্রদর্শক ছিলেন আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু.1895 সালে রেডিও কমিউনিকেশন সংক্রান্ত গবেষণায় জগদীশচন্দ্র ব্যবহার করেছিলেন মিলিমিটার ওয়েভলেংথ ফ্রিকোয়েন্সি প্রযুক্তি। আজ তাই-ই ৫জি গবেষণার মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করেছে। সেদিন না ছিল যন্ত্রপাতি, না ছিল উপযুক্ত পরিবেশ, গোদের উপর বিষফোড়ার মতো ব্রিটিশ অধ্যুষিত ভারতবর্ষে স্বদেশী বিজ্ঞানীদের উপর নানান জোরজুলুম, জাতিবিদ্বেষ। সে সব উপেক্ষা করেই নিজের সাধনা চালিয়েছিলেন জগদীশ চন্দ্র বসু। এবং এমন বিষয় নিয়ে তিনি কাজ করেছিলেন, যা সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে ছিল। সামান্য উপকরণ দিয়েও এমন কাজ করা যায়, আজ তা জেনেই বিস্মিত হচ্ছেন বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা। এমনকী সেদিন মার্কনি সাহেবও যে গবেষণা করেছিলেন, তা জগদীশচন্দ্রের আবিষ্কারের উপর ভিত্তি করেই।
আজথেকে প্রায় 129 বছর আগে টাউন হলে এই মিলিমিটার ওয়েভের উপর একটি পরীক্ষা তিনি করে দেখান। যেখানে একদিকে বারুদ জ্বালানো হয়। অন্যদিকে মিলিমিটার ওয়েভকে কাজে লাগিয়ে দূরে থাকা একটি ঘণ্টাকে বাজানো হয়। ‘অদৃশ্য আলোক’ নামে এক প্রবন্ধে তিনি জানান, এই অদৃশ্য আলো দেওয়াল ও অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা ভেদ করে চলে যেতে পারে। ঠিক এভাবেই কোনরকম তার ছাড়া বার্তাও পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে। এই মিলিমিটার ওয়েভলেংথ সংক্রান্ত গবেষণাই দিশাদেখিয়েছে 5G টেকনোলজিকে।
বিজ্ঞান সাধনায় ব্রতী হয়ে যারা ভারত তথা বিশ্বকে উন্নতির চূড়ান্ত শিখরে প্রতিষ্ঠা করেছেন, মানবজাতিকে করে তুলেছেন ব্রহ্মান্ডের সর্বশ্রেষ্ঠ জীব, তাঁদের মধ্যে অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেন আচার্য্য জগদীশ চন্দ্র বসু যিনি নিজের জ্ঞানের আলোয় ভারত তথা বিশ্বকে আলোকিত করেছেন।