“I will serve the country until my last breath” – Indira had a glimpse of death!
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিবছরের মতো এবছরও মৃত্যুবার্ষিকীতে ঠাকুমা ইন্দিরা গাঁধীকে শ্রদ্ধার্ঘ জানালেন কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গাঁধী। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহুল লেখেন, দেশের ঐক্য, জাতীয় অখণ্ডতার জন্য যে বলিদান দিয়েছেন ইন্দিরা, তা জনসেবামূল কাজে আজও অনুপ্রেরণা জোগায় তাঁকে। আর রাহুলের এই বার্তাতেই ইন্দিরার স্মৃতি ফিরে এসেছে। মৃত্যুর আগে শেষ ভাষণে দেশের ঐক্য, অখণ্ডতার কথাই বলতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে।
১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন থাকাকালীনই গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় ইন্দিরাকে। কিন্তু তাঁর মৃত্যু যে ঘনিয়ে এসেছে, তা কি আগেই বুঝে গিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী? কিছু ঘটনা এই প্রশ্নের উদ্রেক করে। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘My Years with Rajiv Gandhi-Triumph and Tragedy’ বইয়ে প্রাক্তন IAS অফিসার ওয়াজাহত হাবিবুল্লা সেই ঘটনাক্রমের কথা উল্লেখ করেছেন। মৃত্যুর দু’দিন আগে ইন্দিরার ৯০ মিনিটের একটি ভাষণের কথা তুলে ধরেন তিনি, যা আসন্ন বিপদের ইঙ্গিত করে।
মৃত্যুর দু’দিন আগে, ২৯ অক্টোবর ওড়িশার ভুবনেশ্বরে শেষ বার বক্তৃতা করেন ইন্দিরা। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আমি আজ আছি, কাল হয়ত থাকব না। দেশের স্বার্থরক্ষার দায়িত্ব প্রত্যেক ভারতীয়র কাঁধে ন্যস্ত। আগেও বহু বার বলেছি। না জানি কত বার আমাকে গুলি করার চেষ্টা হয়েছে, আমাকে মারতে লাঠিও ব্যবহার করা হয়েছে। ভুবনেশ্বরেই পাথর উড়ে এসে আঘাত করেছে। সব রকম ভাবে আমাকে আঘাত করা হয়েছে। বাঁচা-মরা নিয়ে কোনও পরোয়া করি না আমি। আমি এই দেশকে নিয়ে গর্ববোধ করি। শেষ নিঃশ্বাস ফেলার আগে পর্যন্ত দেশের সেবা করে যাব। আমার রক্তের প্রতিটি বিন্দু ভারতে উজ্জীবীত করবে, শক্তিশালী করবে।”
শুধু হাবিবুল্লার লেখাতেই নয়, ইন্দিরা মৃত্যুর আভাস পেয়েছিলেন বলে আরও একাধিক লেখালেখিতে উঠে এসেছে। জানা যায়, বাড়িতেও সকলকে ইন্দিরা বুঝিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে যেন কান্নাকাটি না হয়, বলে রেখেছিলেন।
৩০ অক্টোবর রাতভর ঘুমাননি ইন্দিরা।৩১ অক্টোবর সকালে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী স্কুলে যাওয়ার তোড়জোড় করছিলেন যখন, কিছুতেই তাঁকে ছাড়তে চাইছিলেন না ইন্দিরা। তাঁর কিছু হয়ে গেলে যেন কান্নাকাটি না করেন, রাহুল গাঁধীকেও ডেকে বোঝান।