He is the British Prime Minister who is very optimistic about India’s position on the world stage
বিদেশ
মুন মুন রায়, প্রতিনিধি:”ভারত আবার জগত-সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে”। ২২তম হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটের মঞ্চে প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস বক্তৃতা রাখতে গিয়ে বলেন যে বিশ্ব মঞ্চে ভারতের অবস্থান নিয়ে তিঁনি অত্যন্ত আশাবাদী। শনিবার তিনি বলেন, ‘চিনের ক্রমবর্ধমান হুমকি-হুঁশিয়ারি’ এবং বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে রাষ্ট্রসংঘ যখন অক্ষম, সেই প্রেক্ষাপটে কোয়াড এবং জি-৭-এর মতো বিকল্প ব্যবস্থাপনাগুলির মূল অংশ ভারতকেই হতে হবে।’ তিঁনি বলেন, ভারত ‘ভবিষ্যতে বিরাট নেতৃত্ব পালন করবে’। বিশ্ব মঞ্চে ভারতের ভূমিকার গুরুত্ব দিয়ে লিজ ট্রাস বলেন, ‘আমি মনে করি কোয়াডে ভারতের ভূমিকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত, যখন আমরা চিনের কাছ থেকে ক্রমবর্ধমান হুমকি পাচ্ছি। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের মঞ্চ হিসাবে রাষ্ট্রসংঘ এখন আর সেভাবে কাজ করছে না। পরিবর্তে আমরা কোয়াড এবং জি-৭-এর মতো বিকল্প ব্যবস্থাপনার উত্থান দেখেছি। আমি মনে করি, আমরা এই ধরনের আরও উন্নয়ন আগামী দিনে দেখব। এবং ভারতকে সেই ব্যবস্থার মূল অংশ হতে হবে।’
বিশ্বের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও তিঁনি বলেন ‘দুঃখজনকভাবে, আমি মনে করি কর্তৃত্ববাদী শাসনের দিকে ক্ষমতার ভরকেন্দ্র ঝুঁকতে শুরু করেছে। ইরানকে আমরা কখনও এতটা বেপরোয়া হতে দেখিনি। আমরা কখনও রাশিয়াকে এভাবে কর্তৃত্ব ফলাতে দেখিনি। আর চিন তো আছেই।’ তিঁনি আরও বলেন, ‘আমি ভারত ও চিনের মধ্যে পার্থক্য করব। ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। ভারত আইনের শাসন সুরক্ষিত রাখতে চায়। বাকস্বাধীনতার মতো বিষয়গুলি বজায় রাখতে চায়। কিন্তু, চিন একেবারেই এর থেকে অন্যরকম।’
প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিঁনি আশাবাদী শীঘ্রই এই দুই রাষ্ট্র বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে। তাঁর আশা, ভারত ও ব্রিটেন একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পাদন করতে সক্ষম হবে। কারণ, সেক্ষেত্রে দুই দেশই প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা এবং কৃষির মতো প্রধান ক্ষেত্রগুলিতে নতুন-নতুন সুযোগ লাভ করবে।